• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

এক ট্রেনে ৬ কোচ, কোনটিতে কী সুবিধা?

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২  

বছরের শেষ বৃহস্পতিবারটা ঢাকাবাসীর জন্য একটু ভিন্ন। এদিন ঢাকাবাসী প্রথমবারের মতো পা রাখবেন স্বপ্নের মেট্রোরেলে। নিজ হাতে টিকিট কেটে জ্যাম ছাড়াই পৌঁছে যাবেন অভিলষিত গন্তব্যে! যুগের পর যুগ ধরে এমনটাই তো চেয়েছিলেন ঢাকাবাসী।

উদ্বোধনের পর সীমিতসংখ্যক ট্রেন সকাল ও বিকেলে স্বল্প সময়ের জন্য চলবে। এসব ট্রেনে যাত্রীও থাকবে সীমিত। যাত্রীদের অভ্যস্ত হওয়ার পর মেট্রোরেলে সময়সূচিতেও আসবে পরিবর্তন, এমনটাই জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক।

ট্রেনে থাকবে ছয়টি কোচ

মেট্রোরেলের কোচগুলো হবে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি ট্রেনে দুই প্রান্তে দুটি চালক কোচসহ মোট ছয়টি কোচ থাকবে। দুটি চালক কোচে ৪৮ জন যাত্রী বসতে পারবে। বাকি চার কোচের প্রতিটিতে বসবেন ৫৪ জন। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে ৩০৬ জন যাত্রী বসতে পারবেন।

প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়েও ভ্রমণ করতে পারবেন। দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সুবিধার জন্য উপরে হাতল এবং একটু পর পর খুঁটি রয়েছে। কোচের ভেতরে দুই সারিতে সবুজ রঙের লম্বা আসন রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে প্রায় ১৭০০ জনের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, প্রথম দিকে ২০০ থেকে ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন; পরে ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী। শুরুতে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেন উত্তরা স্টেশন থেকে ছেড়ে পল্লবীতে থামবে, তারপর না থামিয়ে আগারগাঁও যাবে। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামানো হবে পরবর্তীতে। এভাবে যাত্রীদের প্রথমে অভ্যস্ত করা হবে।

প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১২টি ট্রেন

যাত্রীদের নতুন আসন ও টিকিট ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করার জন্য ট্রেনগুলো প্রথমে স্টেশনে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করবে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনগুলোতে কম সময় অপেক্ষা করবে, যা ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা ১২টি ট্রেনের মধ্যে ১০টি নিয়মিত চলবে এবং দুটিকে যেকোনো সমস্যার জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের গতি হবে গড়ে ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার, যদিও এটি সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম। শীতকালে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ও গ্রীষ্মকালে সকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

মেট্রোরেলে ১৬টি স্টেশন থাকবে। অর্থাৎ দুটি স্টেশনের মধ্যে গড় দূরত্ব হবে ১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার। বেশি স্টেশন রাখার ফলে বিপুলসংখ্যক যাত্রী এর সুফল ভোগ করবে। প্রত্যেক স্টেশনে থাকা টিকিট ভেন্ডর মেশিনের মাধ্যমেই টিকিট করা যাবে। এ ক্ষেত্রে গন্তব্য অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া কেটে নিয়ে কার্ডটি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে যাত্রীকে।

মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া হবে ৬০ টাকা। উত্তরা (উত্তর) থেকে উত্তরা (মধ্য) এবং উত্তরা (দক্ষিণ) স্টেশনের ভাড়া ২০ টাকা। এছাড়া প্রথম স্টেশন উত্তরা (উত্তর) থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০টাকা। মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –