• রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২১ ১৪৩১

  • || ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

একনজরে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদ্যোপান্ত

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৩  

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। এটিই বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন চলাচলকারী প্রথম টানেল। শনিবার এ সড়ক টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনজরে জেনে নিন দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র আদ্যোপান্ত-

টানেলের দৈর্ঘ্য ও ধরন
টানেলের মোট দৈর্ঘ্য– ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার
মূল টানেলের দৈর্ঘ্য– ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার
এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য– ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার
টানেলের ধরন– দুই লেনের ডুয়েল টানেল
প্রবেশপথ– চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কাছে, কর্ণফুলী নদীর ভাটির দিকে নেভি কলেজের কাছে
বহির্গমন– আনোয়ারা প্রান্তে সার কারখানার কাছে

টানেলের নির্মাণ ব্যয়
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রকল্প ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

টানেল নির্মাণের লক্ষ্য
চট্টগ্রাম শহরে নিরবচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে নতুন সড়ক যোগাযোগের কাজে আসবে এ টানেল। কর্ণফুলী নদীর উপরের দুই সেতুতে চাপ কমাতেও সাহায্য করবে এই টানেল।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ কোরিয়ান ইপিজেডের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যাতায়াতের তুলনামূলক সুবিধাজনক রুট হবে। এছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৫০ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব কমবে এবং সময় বাঁচবে এক ঘণ্টার মতো। ভবিষ্যতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র মধ্য দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হবে।

এ টানেল নির্মাণের আরেকটি উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ বা ‘এক নগর দুই শহর’ এর মডেলে গড়ে তোলা। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর পর শহরের সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান শিল্প নগরীতে আরো শিল্পায়ন হবে।

টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণে কাজ করেছে চীনের চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেই কোম্পানির সঙ্গেই ৫ বছরের চুক্তি করেছে। টানেলটি খুবই ‘সংবেদনশীল’। এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রতিদিন কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ করে অক্সিজেনের প্রবেশ অব্যাহত রাখতে হবে।

‘রিসোর্টে’র মতো সার্ভিস এরিয়া
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র প্রকল্পের ভেতরেই আনোয়ারার দিকে পার্কি বিচের কাছে ‘সার্ভিস এরিয়া’র কাজ চলছে। সেখানে থাকবে- ৩০টি বাংলো, একটি ভিআইপি বাংলো, মোটেল মেস, হেলথ সেন্টার, মাঠ, টেনিস কোর্ট, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিং পুল, মসজিদ, হেলিপ্যাডসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা। এটিকে পরবর্তীতে রিসোর্ট হিসেবে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

টোল কত?
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র টোল গাড়িভেদে ২০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।
কার, জীপ, পিকআপ– ২০০ টাকা
মাইক্রোবাস– ২৫০ টাকা
বাস (৩১ আসন বা এর কম)– ৩০০ টাকা
বাস (৩২ আসন বা এর বেশি)– ৪০০ টাকা
বাস (৩ এক্সেল)– ৫০০ টাকা
ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত)– ৪০০ টাকা
ট্রাক (৫.০১ টন হতে ৮ টন পর্যন্ত)– ৫০০ টাকা
ট্রাক (৮.০১ টন হতে ১১ টন পর্যন্ত)– ৬০০ টাকা
ট্রাক/ট্রেইলার (৩ এক্সেল)– ৮০০ টাকা
ট্রাক/ট্রেইলার (৪ এক্সেল)– ১০০০ টাকা
ট্রাক/ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক)- ১০০০ টাকা+প্রতি এক্সেল ২০০ টাকা

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –