• রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২১ ১৪৩১

  • || ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিনে থাকেন বিলাসবহুল হোটেলে, গভীর রাতে করেন কঙ্কাল চুরি

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৩  

            
ঝুঁকি কম ও লাভ বেশি থাকায় কবর থেকে কঙ্কাল চুরিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তারা। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তারা কঙ্কাল চুরি করছেন। প্রতিটি কঙ্কাল বিক্রি করেন ৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়।

চুরি করা কঙ্কালগুলো বিক্রি হয় রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। পর্দার আড়ালে থেকে একটি বড় চক্র এসব চোরদের উন্নতমানের হোটেলে থাকা ও খাওয়ার সুবিধাও দিয়ে থাকেন। 

স্থানীয়দের সহায়তায় কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করার পর এমন তথ্য জানিয়েছে দিনাজপুর পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার লালচান, আব্দুস সোবহান, শেখ ফরিদ, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সেরাজুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন বাবু।

সোমবার বীরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন জানান, আটককৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কঙ্কাল চুরিকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কঙ্কাল চুরির জন্য দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় যাতায়াত তাদের। ২/৩ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে চক্রটি বেশ কিছুদিন যাবত কঙ্কাল চুরি করছিলেন। দিনে রংপুরের বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে রাতের আঁধারে করতেন চুরি। 

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদের দিক-নির্দেশনায় রোববার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে বীরগঞ্জের চৌধুরীহাট কবরস্থানে কঙ্কাল চুরির সময় স্থানীয়দের সহায়তায় চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। আটককৃতরা সবাই কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন আরো জানান, সোমবার তাদের মামলার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পর্দার আড়ালে রয়েছে একটি বড় চক্র। সেই চক্রকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দ্রুত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –