ভাষার সংগ্রামে রচিত হয়েছিল স্বাধীনতার পথ
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভাষার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন, তার মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ। গতকাল সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই পুরস্কার দেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন। একুশে
পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে একুশে পদক-২০২১ তুলে দেওয়া হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওসমানী মিলনায়তনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পেরে আফসোস করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরেই কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম করে সবকিছু অর্জন করতে হয়েছে। কেউ আমাদের সেধে কিছু দেয়নি- এ কথাটা মনে রাখতে হবে। একটি জাতিকে যদি ক্ষতিগ্রস্ত করতে হয় বা তার মেরুদন্ড ভেঙে দিতে হয়, তাহলে তার ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানতে হয়। পাকিস্তানিরা সেই চেষ্টাই করেছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বায়ান্নর আন্দোলন কেবলমাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এ আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এই কথাগুলোর মধ্যে পাবেন রাজনৈতিক অধিকার। এটা আমাদের স্বাধীনতাকেই বোঝায়। স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের মৌলিক যে চাহিদাগুলো, সেগুলো পূরণের কথাই তিনি বলেছিলেন। কাজেই তিনি ভাষা আন্দোলন থেকেই কিন্তু একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যান। সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মা-কে মা ডাকার অধিকার পাই, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলব। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের ওপর একটি বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, তখন ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে একটি শিক্ষা সম্মেলন হয়। সেখানেই ঘোষণা হয়েছিল উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু উর্দু কোনো মাতৃভাষা না, আর পাকিস্তান নামে যে দেশটি হয়েছিল, তার জনসংখ্যার ৫৬ ভাগের ওপরেই আমরা বাঙালি। আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। কিন্তু সেই বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে বিজাতীয় ভাষা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই ঘোষণাটা পূর্ববঙ্গে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তখন প্রতিবাদ জানায়। তখনকার যিনি মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীও বলা হতো, তার বাড়ির সামনে গিয়েও তারা সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে আসে। এরপর ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন। তারই প্রস্তাবে এই ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই কিন্তু মূলত আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। কারণ যারা আমাদের ভাষার ওপর আঘাত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন। পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা না, এটা জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা। তিনি বলেন, যারা আমাদের বলতে গেলে রক্ত দিয়ে শুধু মাতৃভাষায় কথা বলা না, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল, আমরা তাদের প্রতি সম্মান জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তমদ্দুন মজলিসসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সবাইকে নিয়ে তিনি প্রথম একটি সভা করেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা হবে। সেই সভা থেকেই সিদ্ধান্ত হয়, একটি তারিখ ঘোষণা করে আন্দোলন শুরু হবে। ভাষা আন্দোলন ও এই আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকার কথা জানার জন্য পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের খ-গুলো পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদ রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ সবার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, এই রক্ত দিয়েই রক্তের অক্ষরে নিজের মাতৃভাষায় আমরা কথা বলতে চাই। মা-কে মা বলে ডাকতে চাই। সেই কথাটাই তারা লিখে গিয়েছেন। তারপরও কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয়নি। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচনা করে সেখানে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৯ সালে এই দিনটির আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির গৌরবময় অধ্যায়ের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে রবার্ট মিলারের শোক
- দিনাজপুর আইনজীবী সমিতির দুগ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
- ক্যাম্পাসে ভিসি কলিমউল্লাহর কুশপুতুল দাহ করল ছাত্রলীগ
- দীর্ঘ এক মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- দুই দেশের সংযোগ উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত: জয়শঙ্কর
- ‘অ্যাপস তৈরিতে তরুণদের দক্ষ করলে বিলিয়ন ডলার অর্জন সম্ভব’
- ভিসি কলিমউল্লাহর বক্তব্য বানোয়াট : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- সুন্দর ত্বক পেতে ত্যাগ করুন পাঁচ অভ্যাস
- বিএনপি এখন মায়াকান্না কাঁদছে: ওবায়দুল কাদের
- আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া প্রশিক্ষণ নিলেন ১০০ পুলিশ
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে ‘শ্বেতবলাকা’
- করোনার টিকা সম্পর্কিত সব ধরনের কর অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর
- ১২০ বিঘা জমির শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু
- করোনা পারে নাই আর কেউ অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
- নান্দনিক গাইবান্ধা শহর গড়ে তোলা হবে: হুইপ গিনি
- করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- তারেকপন্থীদের দাপটে নিষ্ক্রিয় খালেদাপন্থী নেতারা
- লালমনিরহাটে কাব্যর লেখা ‘কাব্যজয়’র মোড়ক উন্মোচন
- ফুলবাড়ীতে ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- জোটের শরিক দলগুলোকে অকার্যকর ভাবছে বিএনপি
- এইচ টি ইমামের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন
- জনগণের রায়কে ভয় পায় বিএনপি: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬১৯
- ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নাজমা খাতুনের বিরুদ্ধে আরও দুই প্রতারণার মামলা
- ভিটে ছাড়া করতে গৃহবধূর ওপর হামলা, দোকান লুটপাট
- ১০ কোটি টাকার বোঝা নিয়ে গাইবান্ধা মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
- বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৪৫ অভিযোগ, তদন্ত করবে ইউজিসি
- ভুট্টার আড়ালে ১৫ কেজি গাঁজা, রংপুরে গ্রেফতার ৩
- ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড
- সাংবাদিক থেকে পৌরসভা মেয়র ঠাকুরগাঁওয়ের বন্যা
- রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ দুজনের মৃত্যু
- পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নারীর মৃত্যু, আটক ১
- যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের সঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের সাক্ষাৎ
- দিনাজপুরে যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ
- রজব মাসের ফজিলত ও আমল
- প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি:বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হচ্ছে বন্ধ পাটকল
- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উড়বে জাতীয় পতাকা
- কোনো ষড়যন্ত্রই দলে ফাটল ধরাতে পারবে না: ওবায়দুল কাদের
- আজ ফেসবুকের ১৭তম জন্মদিন
- রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার
- সমুদ্রবিদ্যায় মুসলিম নাবিকদের অমর কীর্তি
- মেকআপ নিষিদ্ধ!
- বিএনপির বেশিরভাগ নেতারাই সুবিধাবাদী
- লালমনিরহাটে জুয়েল হত্যায় আরও ১ জন গ্রেফতার
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩২৭
- ফুলবাড়ীতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
- দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, কমেছে শনাক্ত