রোমানিয়াজুড়ে `জীবন্ত পাথর`, বছর বছর বাড়ে আকার
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা আকারের সব পাথর। দেখতেও কেমন অদ্ভুত। হঠাৎ মনে হতে পারে অন্য গ্রহের পাথর পৃথিবীর বুকে চলে এসেছে নাকি! আরো চমকাবেন, যখন শুনবেন এগুলো খুব ধীরে ধীরে হলেও আকারে বড় হয়।
আশ্চর্য এই পাথরের দেখা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। ‘ট্রোভান্ট’ নামের এই পাথরগুলো ‘লিভিং রক’ বা ‘জীবন্ত পাথর’ নামেও বেশ পরিচিত। অবশ্য এদের বৃদ্ধি একেবারেই কম, এক হাজার বছরে সর্বোচ্চ দুই ইঞ্চি।
কিন্তু ঘটনা হলো, পাথরের আকার বাড়ে—এটা কীভাবে সম্ভব? এরা তো কোনো প্রাণী নয়। এমনকি গাছও নয়। একটু খোলাসা করা যাক। এই পাথরগুলো মূল অংশটি শক্ত পাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে বালু জমা হয়ে একটার পর একটা স্তর তৈরি হয়। শত শত বছর ধরে ভারী বৃষ্টির ফলে এই পাথরের ওপরের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢোকে পানি। এই জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই চুনাপাথরের আস্তরণে শুরু হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতেই একটু একটু করে ফুলে আকার বাড়ে ‘ট্রোভান্টে’র।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায়ই এর আকার-আকৃতি বদল হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ৫০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম কসতেসটি। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এসব পাথরের।
‘জীবন্ত পাথর’গুলো বহু বছর ধরেই স্থানীয়দের কৌতূহলের উদ্রেক করে এসেছে। তাদের আশ্চর্য আকৃতি এবং আকারে বড় হওয়ার প্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তির জন্ম দেয়। একসময় স্থানীয়রা এটাও বিশ্বাস করতেন এদের জীবিত বস্তুর মতো চলাফেরার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা আছে।
আগেই বলেছি, ট্রোভান্ট পাথরের আকার বেশ অস্বাভাবিক এবং একেকটি একেক রকম। কোনো কোনোটি এত ছোট যে আপনার হাতের তালুতে সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটি আবার ব্যাসে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। অন্তত ২০টি জায়গায় ১০০টির মতো ট্রোভান্টের খোঁজ মেলে। তাদের চারপাশের বালু উত্তোলন করার পরেই সন্ধান মেলে এমন অনেক পাথরের।
ধারণা করা হয়, ভূমিকম্পে ৬০ লাখ বছর আগে এদের জন্ম। রেডিও রোমানিয়া ইন্টারন্যাশনালকে বুইলা-ভানতুরারিতা ন্যাশনাল পার্কের একসময়কার ম্যানেজার ফ্লোরিন স্টোইকান বলেছিলেন, ‘এগুলোর কিছু বেলেপাথর থেকে, অন্যগুলো নুড়ি থেকে তৈরি হয়।’
গবেষকেরা ট্রোভান্ট ও আশপাশের বালুর নিচের শিলাস্তরের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাই তাঁরা অনুমান করেন, এদের বৃত্তাকার কিংবা উপবৃত্তকার আকার এসেছে মধ্য মিয়োসিন যুগের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ভূকম্পনের কারণে।
বছরের পর বছর ধরে মূল পাথরটির ওপর বালু, পাথরের আস্তরণ জমা পড়ছে। সেগুলোকে আঠার মতো জুড়ে রেখেছে চুনাপাথরের আস্তরণ। আর প্রবল বৃষ্টিপাতে এই পাথরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির জলে থাকে খনিজ পদার্থ। এই খনিজই বাকি কাজটা করে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য না পাওয়া গেলেও এ কারণেই একটু একটু করে আকারে বড় হয় এসব পাথর। তবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেবারে নগণ্য। হাজার-বারো শ বছরে মোটে চার-পাঁচ সেন্টিমিটার।
জিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব রোমানিয়ার ড. মিরসিয়া টিক্লিয়ানু বলেন, ‘রোমানিয়ার ট্রোভান্টগুলোর বয়সে পার্থক্য আছে। এরা কেবল মাটি থেকে উঠে এসেছে তা নয়, এগুলো শিলাস্তর ও বালুর খনিতে পাওয়া যাওয়া বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের বালুর মধ্যেও থাকে।’
ট্রোভান্ট হলো জার্মান শব্দ সেন্ডস্টেইসকনক্রিটইউনেনেন প্রতিশব্দ। এর অর্থ, সিমেন্ট দিয়ে জোড়া লাগানো বালু। ‘ট্রোভান্ট শব্দটি ভূতাত্ত্বিক সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয় রোমানিয়ায়।’ বলেন ড. টিক্লিয়ানু।
সত্যি সত্যি জীবন্ত না হলেও গাছের সঙ্গে একটি বিষয়ে এদের বেশ মিল আছে। তা হলো, ট্রোভান্টগুলো যখন কাটা হয়, তখন ভেতরের স্তরগুলো নজরে আসে। প্রতিটি স্তর বৃদ্ধির সময়কে প্রতিনিধিত্ব করে। বৈজ্ঞানিক অর্থে জীবিত না হলেও স্থানীয়রা এবং পর্যটকেরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার বদলানোয় তাদের ‘জীবন্ত পাথর’ বা ‘লিভিং স্টোন’ বলেই ডাকেন।
বড় ট্রোভান্টগুলো পাশে অনেকগুলো ছোট, অসম্পূর্ণ পাথরও আছে, তবে সবগুলোর আকারেই গোলাকার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়—উঠে এসেছে গবেষণায়।
কসতেসটি জায়গাটি এ ধরনের পাথরের জন্য বেশি বিখ্যাত হলেও ড. টিক্লিয়ানুসহ অন্যদের করা গবেষণায় উঠে আসে রোমানিয়ার কার্পেথিয়ান অঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। কসতেসটি পাথরগুলো বেশি নাম কামানোর কারণ এগুলো আকারে বেশ বড়। কোনো কোনোটার ব্যাস এক মিটারের বেশি। এগুলোর কোনোটা গোলাকার, ডিম্বাকার। তবে অনেকগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে জটিল রূপ পেয়েছে। কসতেসটির ট্রোভান্টগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বড় পাথরের পৃষ্ঠে প্রায়ই ছোট, গোলাকার পাথরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- বিয়ের পরদিনই সড়কে ঝরল পুলিশ কর্মকতার প্রাণ
- বিশ্বকাপ মিস করছেন যারা
- সিল্কের নাইটিতে বন্ধুদের সঙ্গে যা করলেন রচনা
- ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পোশাক শিল্প জোরালো ভূমিকা রাখবে’
- ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা শুনে বিদেশিরা অবাক হয়:কৃষিমন্ত্রী
- তেলের দাম স্থিতিশীল আছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
- দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’
- নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত ৩৭
- পারমাণবিক শক্তি বাংলাদেশের আরেকটি ঐতিহাসিক অর্জন
- দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী
- খানসামায় মাঠ ভরা সবুজ ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
- ঘোড়াঘাটে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও জটিলতা বিষয়ক সেমিনার
- খানসামায় সামাজিক অপরাধ রোধকল্পে থানা পুলিশের উঠান বৈঠক
- পার্বতীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নারী সমাবেশ
- দিনাজপুরে আনুমানিক চল্লিশ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন চুরি
- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার মানববনন্ধন
- ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরো ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষোভে বন্ধুকে হত্যা, গ্রেফতার ৪
- বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ১৬ ঘণ্টা পর লাশ হয়ে ফিরল মহসিন
- পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকা সেই ক্রিকেটারই আফগানিস্তানের মেন্টর
- উড়ন্ত চুমুতে প্যারিস মাতালেন ঐশ্বরিয়া
- ভূমিকম্পের পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন রাসূল (সা.)
- আ’লীগ সারাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: পলক
- মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন
- নয় লাখ ভূমিহীনকে ঘর ও চাষাবাদের জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪০ লাখ টাকা নিয়ে মসজিদের ইমাম উধাও
- দিনাজপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি
- গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
- ৪ মাস আগে পালিয়ে বিয়ে, শ্বশুরবাড়িতে মিলল কলেজছাত্রীর মরদেহ
- দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
- বিআরটিসি’র বহরে যুক্ত হচ্ছে ৩৪০ এসি বাস
- সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৩ দিন ছুটি
- প্রিয় মানুষের মন ভালো করবেন যেভাবে
- ভালো দাম পাওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের কৃষকেরা
- লোকে ভাবে আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক: কঙ্গনা
- সাইবার আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে : আইনমন্ত্রী
- হাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- দিনাজপুরে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫
- মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নামছে এমআরটি পুলিশ
- দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিমের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
- পঞ্চগড় সীমান্তে ১৯ সোনার বারসহ যুবক আটক
- চাকুর মুখে গৃহবধূকে জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা লুট
- খানসামায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
- সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে