১৫ দিন ঘুরেও আশ্রমে জমি দান করতে পারলেন না বৃদ্ধ অনিল
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জীবনের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ১৫ দিন ধরে ঘুরেও আশ্রমে ৫৪ শতাংশ জমি দান করতে পারলেন না বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র মহন্ত (৮৫)। লিখে প্রস্তুত করা দলিল সম্পাদনের মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা সেটি ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন বৃদ্ধ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলেও দলিল সম্পাদন করেননি সাব-রেজিস্ট্রার। বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র মহন্ত উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বৈরাগী ভিটার এলাকার মৃত খগেন্দ্র নাথ মহন্তের ছেলে।
জানা গেছে, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া কয়েক একর জমির মালিক অনিল চন্দ্র মহন্ত বৈরাগী। তার নাম অনুসারে ওই এলাকাটির নামকরণ হয় বৈরাগীর ভিটা। যৌবনে জমিগুলো আগলে রাখলেও বার্ধক্যে এসে সন্তানরা অধিকাংশ জমি বিক্রি করে ফেলেছে। এতে অনেকটাই অসন্তোষ বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র। বৃদ্ধ অনিলের দুই স্ত্রীর সংসার। দুই সংসারে দুই ছেলে এক মেয়ে। বর্তমানে ছেলের ঘরেই নাতি-নাতনিও রয়েছে অনিলের।
ইতোপূর্বে সন্তানদের নামে বেশ কিছু জমি লিখে দিয়েছেন অনিল চন্দ্র মহন্ত। ছোট ছেলে রণজিৎ মহন্ত জমি বাড়ালেও বিপথগামী বড় ছেলে অতুল চন্দ্র মহন্ত সব বিক্রি করে ফেলেছেন। এদিকে অনিল চন্দ্র মহন্তের জীবনের শেষ ইচ্ছে আশ্রমে জমি দান করবেন। শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ছেলেদের নির্দেশও দেন তিনি।
কিন্তু বড় ছেলে অতুল চন্দ্র মহন্ত আপত্তি জানান। তার দাবি, আশ্রমে দান করে বাকি জমি ছেলেদের দিয়ে দিতে হবে। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ অনিল রাজিও হন। তবে ছেলেরা তার সম্পত্তি নষ্ট করবে ভেবে নাতিদের নামে সমহারে দলিল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সেই ইচ্ছে পূরণ করতে গত ১৫ দিন ধরে বয়সের ভারে নাজুক অনিল চন্দ্র মহন্ত ছুটছেন আদিতমারী সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে বড় ছেলে অতুল চন্দ্র মহন্ত একটি চক্রকে লেলিয়ে দিয়ে দলিল করতে বাঁধা দিচ্ছেন। প্রাণ ভয়ে রেজিস্ট্রার অফিস ত্যাগ করেন বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র মহন্ত।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনিল চন্দ্র মহন্তের ৪টি দলিল সম্পাদন করার আশ্বাস দেন সাব-রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রশিদুজ্জামান। সেই আশ্বাসে দলিল লিখে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যাওয়া মাত্রই সাব রেজিস্ট্রারের সামনে থেকে দলিল ৪টি ছিনিয়ে নেন ওই চক্রটি। তৈরি হয় হট্টগোল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি সহায়তা নেন সাব-রেজিস্ট্রার। তবে দলিল ৪টি সম্পাদন সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়। বৃদ্ধ অনিলকে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত থানায় বসে রেখে সন্ধ্যায় বাড়ি পাঠানো হয়। অপর দিকে দলিল লেখক রুহুল আমিন ও অনিল চন্দ্র মহন্তের ছোট ছেলে রণজিৎ আর নাতিদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বড় ছেলে অতুল চন্দ্রের স্ত্রী চন্দনা মহন্ত।
বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র মহন্ত বলেন, দলিল পার করে দিতে চেয়ে আমাকে থানায় এনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অফিসের সময় শেষ হলে বাড়ি পাঠায়ে দেয়। দলিল না দিলেও আমি মারা গেলে ছেলে বা নাতিরা জমি পাবে। কিন্তু আশ্রম তো পাবে না। যা আমার জীবনের শেষ ইচ্ছে। কখন যে মরে যাই। সরকারি লোকরাই আমাকে জমির দলিল দিতে দিল না। ভগবান তাদের বিচার করবে।
আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রশিদুজ্জামান বলেন, ছেলের অভিযোগের পারিবারিক সমাধান করতে প্রথম দিন বৃদ্ধ অনিলকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দিন দলিলটি আমার হাতে আসার আগেই একটি পক্ষ ছিনিয়ে নেওয়ায় হট্টগোল তৈরি হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে বৃদ্ধ অনিলের দলিল ৪টি সম্পাদন করা হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। দাতা যাকে ইচ্ছে দান করতে পারেন, এতে বাঁধা দেওয়া অপরাধ।
তবে আদিতমারী থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কোনো শঙ্কা ছিল না এবং নেই। সাব-রেজিস্ট্রার চাইলে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে দাতাকে অফিসে পৌঁছে দেওয়া হত।
লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ বলেন, দাতা যাকে ইচ্ছে দিতে পারেন। কাগজ সঠিক হলে অবশ্যই দলিল সম্পাদন হবে। পরিস্থিতি উত্তাপ্ত থাকায় দলিলটি সম্পাদন করেনি বলে শুনেছি। তবে দলিলটি পরে সম্পাদন করতে বলেছি। কেন করেনি, তা খতিয়ে দেখা হবে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- ‘অল্প টাকায় বাড়ীর পাশে চোখের চিকিৎসা করে ভালই লাগছে’
- কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৩
- বিয়ের পরদিনই সড়কে ঝরল পুলিশ কর্মকতার প্রাণ
- বিশ্বকাপ মিস করছেন যারা
- সিল্কের নাইটিতে বন্ধুদের সঙ্গে যা করলেন রচনা
- ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পোশাক শিল্প জোরালো ভূমিকা রাখবে’
- ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা শুনে বিদেশিরা অবাক হয়:কৃষিমন্ত্রী
- তেলের দাম স্থিতিশীল আছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
- দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’
- নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত ৩৭
- পারমাণবিক শক্তি বাংলাদেশের আরেকটি ঐতিহাসিক অর্জন
- দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী
- খানসামায় মাঠ ভরা সবুজ ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
- ঘোড়াঘাটে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও জটিলতা বিষয়ক সেমিনার
- খানসামায় সামাজিক অপরাধ রোধকল্পে থানা পুলিশের উঠান বৈঠক
- পার্বতীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নারী সমাবেশ
- দিনাজপুরে আনুমানিক চল্লিশ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন চুরি
- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার মানববনন্ধন
- ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরো ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষোভে বন্ধুকে হত্যা, গ্রেফতার ৪
- বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ১৬ ঘণ্টা পর লাশ হয়ে ফিরল মহসিন
- পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকা সেই ক্রিকেটারই আফগানিস্তানের মেন্টর
- উড়ন্ত চুমুতে প্যারিস মাতালেন ঐশ্বরিয়া
- ভূমিকম্পের পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন রাসূল (সা.)
- নয় লাখ ভূমিহীনকে ঘর ও চাষাবাদের জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪০ লাখ টাকা নিয়ে মসজিদের ইমাম উধাও
- দিনাজপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি
- গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
- ৪ মাস আগে পালিয়ে বিয়ে, শ্বশুরবাড়িতে মিলল কলেজছাত্রীর মরদেহ
- দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
- বিআরটিসি’র বহরে যুক্ত হচ্ছে ৩৪০ এসি বাস
- সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৩ দিন ছুটি
- প্রিয় মানুষের মন ভালো করবেন যেভাবে
- ভালো দাম পাওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের কৃষকেরা
- লোকে ভাবে আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক: কঙ্গনা
- সাইবার আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে : আইনমন্ত্রী
- হাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- দিনাজপুরে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫
- মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নামছে এমআরটি পুলিশ
- দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিমের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
- পঞ্চগড় সীমান্তে ১৯ সোনার বারসহ যুবক আটক
- চাকুর মুখে গৃহবধূকে জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা লুট
- খানসামায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
- সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে