১৫ বছর পর অনুমোদন পেতে যাচ্ছে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩

১৫ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন। এই আইনটির খসড়া নিয়ে পর্যালোচনা আর তিনবার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। অবশেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আইনটি সংযোজন ও বিয়োজন করে নতুন নামে ‘ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার আইন-২০২৩’ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, প্রথম খসড়ায় সাজার যে বিধান ছিল তা কমানো হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা কারণে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন কমছে প্রায় ২১৯ হেক্টর আবাদি জমি। অপরদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং কৃষি বিভাগের মতে, বছরে কৃষিজমি কমছে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর অর্থাৎ দিনে কৃষিজমি কমছে ১৮৮ হেক্টর।
সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনেও একই তথ্য রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে মোট আবাদি জমি রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে তিন ফসলি জমি ১৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর। ফসলি জমি রক্ষায় ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথমে নাম ছিল ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০’। পরে নাম বদলে ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-২০১৫’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা আইন-২০২১’ নামে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ নামকরণ করা হয়েছে ‘ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার আইন-২০২৩’।
প্রস্তাবিত এই আইনের খসড়ায় ছিল, প্রতিষ্ঠানের নামে কৃষিজমি কেনা বা হস্তান্তর করা যাবে না। দুই বা তিন ফসলি জমি সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো অবস্থাতেই অধিগ্রহণ করা যাবে না। কোনোভাবেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রথম খসড়ায়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আইন লঙ্ঘনের শাস্তি কমিয়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিন ফসলি জমিতে সোলার প্যানেলসহ সব ধরনের উন্নয়ন-অবকাঠামো স্থাপন ও নির্মাণ বন্ধ রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সব দফতরগুলোকে চিঠি দেয়। চিঠিতে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতি মাসের ২ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়।
সম্প্রতি কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, তিন ফসলি জমি রক্ষায় মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তিন ফসলি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে, তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, নগরায়ণ, অপরিকল্পিত চাষাবাদ ও দূষণসহ নানা কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জমির প্রকৃতি ও শ্রেণি। পাশাপাশি রাতারাতি ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল-বিল, ডোবা-নালা। কোথাও কোথাও তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে যা বিভিন্ন ইটভাটায় ব্যবহুত হচ্ছে। গত চার দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
আইনটির অগ্রগতির বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আইনটির নামও একাধিকবার পরিবর্তন করা হলেও এখন প্রায় চুড়ান্ত। এতে আগের তুলনায় কমানো হয়েছে শাস্তি। আইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হবে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- টিকটক অ্যাকাউন্ট খুললো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- রংপুর-এলেঙ্গা মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন
- নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনাকে সমর্থন করবে: ড. সেলিম মাহমুদ
- প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথার্থ ভূমিকা রাখবে
- আমি কোন দুঃখে আমার স্বামীকে মারতে যাব: সানাই
- অবৈধভাবে পুকুর খনন, লাখ টাকা জরিমানা
- বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের অবস্থান ভালো: বাণিজ্যমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে মাদক মামলায় নারী ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
- ১৪ বছরে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি: কৃষিমন্ত্রী
- ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ২
- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- গুচ্ছ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল
- একজনও কালো টাকা সাদা করেনি: অর্থমন্ত্রী
- স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো তৎপর: আ জ ম নাছির
- নতুন বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রগতি: কামরুল ইসলাম
- দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে হবে: কে এম খালিদ
- কুয়েতে জনশক্তি রফতানি নিয়ে সুখবর দিলেন রাষ্ট্রদূত
- আরো ৪৪ হাজার ১৫৬ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন
- স্বস্তি নেই, গরম নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- সিনিয়র সচিব হলেন দুই কর্মকর্তা
- বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
- দেশে আয়কর দেওয়ার হার ৩ গুণ বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
- রাশিয়া থেকে আসছে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার
- ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু সেপ্টেম্বরে: প্রকল্প পরিচালক
- বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে: হুইপ স্বপন
- মে মাসে ২৮২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য-মাদক উদ্ধার
- এবারের বাজেট অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে সহায়ক হবে: হানিফ
- কুয়েতে জনশক্তি রফতানি নিয়ে সুখবর দিলেন রাষ্ট্রদূত
- সারাদেশে নদীভাঙন কমেছে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে বাড়তি ২ মিলিয়ন টন এলএনজি দেবে কাতার
- গ্রিসে পাসপোর্টহীন বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলো দূতাবাস
- প্রেম ভেঙে যাওয়ায় বায়েজিদকে খুন করেন বোনের প্রেমিক
- ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় ভুয়া চিকিৎসক আটক
- পার্বত্য জেলায় দৃশ্যমান বহু উন্নয়ন হয়েছে: বীর বাহাদুর উশৈসিং
- কুয়েতে জনশক্তি রফতানি নিয়ে সুখবর দিলেন রাষ্ট্রদূত
- ধানক্ষেতে মিলল অজ্ঞাত নারীর লাশ
- বছরজুড়েই নিন টমেটোর স্বাদ, জেনে নিন সংরক্ষণের উপায়
- ইন্ডিয়ান ওশান সম্মেলনে অংশীদারে গুরুত্ব ঢাকার
- স্মার্ট বাংলাদেশের মূল শক্তি হবে তরুণ মেধাবীরাই: খাদ্যমন্ত্রী
- ১৫ বছর পর অনুমোদন পেতে যাচ্ছে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন
- সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি
- এই জন্মের দূরত্বটা, পরের জন্মে চুকিয়ে দেব: জয়া আহসান
- রেলবহরে যুক্ত হলো ভারতের ২০ লোকোমোটিভ
- ইন্টারনেট ছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- এ বছর মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে: রাষ্ট্রদূত
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে স্থায়ী হচ্ছে কর অবকাশ সুবিধা
- ৫৭ ইউপিতে ভোট ১৭ জুলাই
- শুভ জন্মদিনে তৈরি করুন ‘সুস্বাদু খেজুরের কেক’