• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

এশিয়ার সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হচ্ছে বরিশালে 

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১  

ধর্মীয় রীতিনীতি ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এশিয়ার সর্ববৃহৎ মহাশ্মশানে উদযাপিত হচ্ছে দীপাবলি উৎসব। গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ভূতচতুর্দশী তিথিতে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। চলবে কালীপূজার তিথির পূর্ব পর্যন্ত। বরিশালে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মহাশ্মশানে প্রায় দুইশ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে এ উৎসব। 

এদিকে শ্মশানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা। 

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ জোন) মো. আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দীপাবলি উৎসব চলছে। শ্মশানে পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দীপাবলি উৎসব আড়ম্বর পরিবেশে পালিত হচ্ছে। সমাধি সংস্কার ও রং করানোর জন্য আগে থেকেই মাইকিং করা ছিল। নির্ধারিত সময়েই সমাধিগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব হয় এ শ্মশানে। ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ প্রতিবছর স্বজনদের স্মরণ করতে এখানে আসে। করোনার কথা মাথায় রেখে, শ্মশানের প্রধান গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরে শ্মশানে প্রবেশের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

দিপাবলীতে এ বছর দেড় লাখের অধিক লোকসমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি। 

প্রসঙ্গত, ৫ দশমিক ৯৬ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল মহাশ্মশানে প্রতিবছর ভূতচতুর্দশী তিথিতে দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। এ তিথিতে কয়েক লাখ মানুষের প্রজ্জলিত প্রদীপ ও মোমবাতিতে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ সময়ে মৃত স্বজনদের প্রিয় খাদ্য দিয়ে স্মরণ এবং আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

দীপাবলি উৎসবে শ্মশানঘাট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দিন হায়দারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –