• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সবচেয়ে বড় কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে আনোয়ারায়

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২১  

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। মোট ১২ দশমিক ৫ একর জমিতে নির্মিত হবে ৫৯০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রাকৃতিক গ্যাস অথবা এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) দিয়ে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কেন্দ্রটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এদিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও হচ্ছে চট্টগ্রামের রাউজানে। ৪৩৮ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে লেটেস্ট প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র বলে জানিয়েছেন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুন্সী বশির আহমেদ। এই কেন্দ্রটি পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আনোয়ারার কর্ণফুলী নদীর তীরে ২২ বছর মেয়াদী এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে ইউনাইটেড চট্টগ্রাম পাওয়ার লিমিটেড।

এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ইউনাইটেড চট্টগ্রাম পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে গত অক্টোবরের শেষে দিকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানো হলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২ টাকা ৯৫ পয়সা (৩ দশমিক ৬৮৬৭ ইউএস সেন্ট) এবং আমদানি করা এলএনজিতে উৎপাদন করা হলে পড়বে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা (৬ দশমিক ৮০৪৩ ইউএস সেন্ট)।

পিডিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলের এক প্রকৌশলী জানান, চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৬ সালের ২৮ জানুয়ারিতে উৎপাদনে আসবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০ ভাগের মালিক ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, ২০ ভাগের মালিক জাপানের প্রতিষ্ঠান কাইশু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি ইনকরপোরেশন এবং বাকি ২০ ভাগের মালিক শোজিট করপোরেশন, জাপান।

রাউজানের ৪৩৮ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল প্রকল্পের ২ হাজার ৮৭ কোটি টাকার মধ্যে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮শ’ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ২শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের দায়িত্ব পেয়েছে চীনের সেপকো-থ্রি ইলেক্ট্রনিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশনস কোম্পানি লিমিটেড। গ্যাসভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১ টাকা ৩৮ পয়সা।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –