• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: চিরিরবন্দরে মোরসালিনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২১  

“তিনদিন আগত মোক বাজান ফোন দিছিল। মক কইছে- মা এবার কোরবানির ঈদত বাড়ি জাইম। তোর জন্যে শাড়ি কিনে নিইম। বইনের জন্য শাড়ি কিনিছু। বইনের জন্যি সেমাই-চিনি কিনিছু। মুই ঈদ বাড়ী গেইলে বইনের শ্বশুরবাড়িত যাই সেমাই-চিনি দিতে আসিম। তুই চিন্তা করিস না।”

এই ভাবে বিলাপ করছিলেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নিহত মোরসালিন ইসলামের মা মোকসেদা খাতুন। 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত মোরসালিন ইসলামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের আব্দুলপুর ইউপির দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় এক মাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃদ্ধা বাবা-মা বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।  

নিহত মোরসালিন ইসলাম দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামের আনিসুর রহমান ও মোকসেদা খাতুনের ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে মোরসালিন বড়। ৫ মাস আগে একই উপজেলার গরীবের বাজারে বোনের বিয়ে হয়। 

বাবা আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার আগত মোর মোবাইলত সাড়ে ৪হাজার টেহা পাঠাইছিল। টেহা পাঠাই মোক ফোন দিক কইছে- বাবা বইনের বিয়ার সময় মুই বইটারে কিছুই দিবার পারু নাই। তোমার মোবাইলত মুই সাড়ে ৪ হাজার টেহা পাঠাইনু। ওই টেহা দিয়া বইনের জন্যি কাপড় কিনি দিস। এটাই বাজানের সাথত মোর শেষ কথা হইছে। 

তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন বিকালত মোক মোর শালা জুয়েল ফোন করি ঘটনা জানাই। ছেলে খান ৩ তলা ছাদ থাকি লাফ দিছে। রাইত ছেলে খান মইরে গেইল। মোর বুক খান খালি হই গেইল। মোর মতন বহু বাবা-মার বুক খালি হই গেইল। কেনে ওরা গেইটত তালা মারিল। মুই কারখানার মালিকসহ এই ঘটনার জড়িত সকলের শাস্তি চাও। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –