• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পাবর্তীপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উৎপাদন বন্ধ   

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১  

দিনাজপুর পাবর্তীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দেশীয় শ্রমিকরা বের হয়ে আসায় কয়লা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে, কয়লার অভাবে আবারো বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে নানা বিরোধ ও হয়রানির অভিযোগে গত ২ জুলাই কয়লা খনি বেরিয়ে আসে দেশীয় শ্রমিকরা। এরপর ২৫ জুলাই পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে দেশীয় শ্রমিকদের বাধা দেয় সিএমসি’র চীনা শ্রমিকরা। সারাদিন খনিতে অবস্থানের পর ওইদিন বিকেল ৪টায় একসঙ্গে ৫০০ শ্রমিক বেরিয়ে আসে। এতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

খনি শ্রমিক মো. রবিউল ইসলাম জানান, করোনার অজুহাত দেখিয়ে খনি থেকে শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেয় না চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি কোম্পানি। শ্রমিকরা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে খনির ভেতরে অবস্থান করছে। অনেকেই বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। ন্যায্য অধিকার চেয়ে আন্দোলন করায় অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এছাড়া সিএমসি’র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি কোম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৫০০ শ্রমিক খনি থেকে বেরিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের ভেতরে আটকে রেখে খনির কর্মকর্তা ও চীনা নাগরিকরা প্রতিনিয়ত বাইরে যাতায়াত করেছে। এর ফলে খনির ২৬ জন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ সব শ্রমিককে খনিতে ফিরে গিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ কারণে শ্রমিকরা ২৫ জুলাই খনিতে ফিরে যায় কিন্তু চীনা শ্রমিকরা তাদের ভেতরেই ঢুকতে দেয়নি।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান জানান, কাজ ছেড়ে যাওয়া শ্রমিকদের সবাই চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে এক্সএমসি কোম্পানির শ্রমিক। খনির ১৩১০ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট এক্সএমসি কোম্পানির সঙ্গে চার বছরের চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।

তিনি আরো জানান, চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ১০ আগস্ট শেষ হবে। কিন্তু এখনো দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। নতুন চুক্তি হলে ১৩১০ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের পর নতুন ফেইজ ১৩০৬ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়েই চলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দীর্ঘদিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলে হুমকির মুখে পড়তে পারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –