দিনাজপুরে দশমাইল কলার হাটে প্রতিদিন ৮০ লাখ টাকার বেচাকেনা
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২১
দিনাজপুরে কলা চাষের উপযোগী উঁচু থাকায় বাড়ছে কলার উৎপাদন। দিনাজপুরে উৎপাদিত কলা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। আবাদে খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণে কলা চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা।
দিনাজপুর দশমাইল কলার হাটে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় কলাচাষি ব্যবসায়ী ও পাইকারদের। বাজারজুড়ে সারি সারি কলার কাঁদি সাজানো। স্থানীয়ভাবে কলার কাদিকে কাইন, ঘাউর, ঘের ও পীর বলা হয়। প্রতিটি কলার কাঁদি বিক্রি হয় ৩৫০-৪৫০ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতবার প্রতিটি কলার কাঁদি তারা ৩০০-৩৫০ টাকা দরে কিনেছেন। সে হিসাবে এবার কাঁদি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দাম বেড়েছে।
জেলার সবকটি উপজেলায় কলা চাষ করা হয়। তবে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কলা চাষ হয় জেলার সদর, বীরগঞ্জ, কাহারোল ও বিরল উপজেলায়। শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত ফল তোলার সময়। এই সময় কাহারোল উপজেলার দশমাইল মোড়ে বসে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বড় কলার হাট। কলা আসে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাও জেলা থেকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা কলা কিনতে আসেন দশমাইল হাটে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ভ্যান, নসিমন, পিকআপে করে এই হাটে বিক্রির জন্য কলা আনতে শুরু করেন চাষি ও স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীরা। কেনাবেচা শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ট্রাকে কলা তোলা হয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয় হাটের কলা বেচাকেনা।
বীরগঞ্জ উপজেলার কলাচাষি মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, কলা চাষে তেমন একটা ঝুঁকি নেই। গতবার ৪০০টি গাছ দিয়ে বাগান শুরু করি। এবার সেখানে ৫০০ গাছের বাগান করেছি। বাগানে মোট খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকার মতো। এ বছর কলার বাজার ভালো চলছে। এই বাজার শেষ সময় পর্যন্ত থাকলে চার লাখ টাকার মতো কলা বিক্রির আশা করছি।
সদর উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, কলা বিক্রি করতে এখন হাটে আসতে হয় না। পাইকাররা আগেই বাগান দেখে টাকা দিয়ে দেন। তাতে বিক্রির ঝামেলা থাকে না।
কলা কিনতে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি ঢাকার খিলক্ষেত থেকে কলা কিনতে দিনাজপুরের দশমাইল হাটে এসেছি। এ বছর কলার দাম ভালো। যে কলাটা ছিল ৩০০ টাকা কাঁদি , সেটা এ বছর ৪৫০ টাকা কিনতে হচ্ছে। এবার কলার ব্যবসায় লাভ কম।
দশমাইল কলার হাটের শ্রমিকরা বলেন, প্রতিদিন এই হাটে ভ্যান, নসিমন ও পিকআপ থেকে আমরা কলা নামাই। আবার কলা ট্রাকে তুলি। আমরা এখানে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করি। প্রতিদিন ৮শ থেকে এক হাজার টাকা রোজগার করতে পারি।
হাটের ইজারাদার মিজানুর রহমান জানান, মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার কলা বেচাকেনা হয় এই হাটে। দশমাইল হাটে শতাধিক পাইকার কলা কিনতে আসেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, দিনাজপুর ফল ও ফসলে ভরপুর জেলা। এই জেলা সুগন্ধী চাল, লিচু, আম, শাক-সবজিতে ভরপুর। দিনাজপুরে এ বছর প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। গত বছরে ৬০০ থেকে ৬৫০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছিল।
তিনি বলেন, জেলায় কলা চাষ জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে কলার বাজার ভালো। অল্প বিনিয়োগে কলা চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। জেলায় এবার ৩৫ হাজার মেট্রিক টন কলা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার ১৩ উপজেলার কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের কলা আবাদ করেছেন। এর মধ্যে মেহের সাগর, সাগর, চিনি চাম্পা, শোভোরী ও সুন্দরী (মালভোগ) জাতের উচ্চ ফলনশীল কলার আবাদ করা হচ্ছে। বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত কলা গাছের চারা রোপণ করা হয়। এক একর জমিতে এক হাজার কলা চারা রোপণ করা যায়। ১৩ মাস পর চাষিরা ওই কলা ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। কলার দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষকরা।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- পার্বতীপুরে ক্রীড়া সামগ্রি ও হুইল চেয়ার বিতরণ
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ জন
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ