• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ধানের জেলা দিনাজপুরে বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ 

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২২  

ধানের জেলা দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে। এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষক। মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্য চাকা। পেঁয়াজ চাষে কৃষককে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক মতিউর রহমান এবারেই প্রথম দুই বিঘা জমিতে বারী-৫  গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষক মতিউর রহমান জানান, আগামীতে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করতে জমির পরিধি তিনি আরো বাড়িয়ে দিবেন। তিনি হর্টি কারচার থেকে এই পেঁয়াজের চারা এনে রোপণ করেছিলেন এবং তার পেঁয়াজের ফলন দেখে অনেকেই এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী।

শুধু কৃষক মতিউর রহমান নয় দিনাজপুরে এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুকেছেন অনেকেই। ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।

বরাবরই দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটে গত এবং এ বছর থেকে আগাম কোনো তথ্য ছাড়াই হুট করে পেঁয়াজ রপ্তারি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক দাম বৃদ্ধি পায়। পরিস্তিতি সামালাতে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। তাই বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণার ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত দশ বছর আগে  উদ্ভাবিত হলেও দিনাজপুরেই এই প্রথম এ জাতের পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়।

এতদিন পেঁয়াজ এক মৌসুমে ফলানোয় উৎপাদনের পর চাষি যেমন দাম পেত না আবার বছরের অন্য সময় সংকটের কারণে বাজারে দামের ঝাঁঝও বেড়ে যেত। তখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এনেও ঘাটতি পূরণ করা যেত না মন্তব্য কৃষিবিদদের।

তাই,গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের প্রণোদনাসহ করণীয় নির্ধারণ করে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানালেন দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক প্রদীপ কুমার।

তিনি বলেন,গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ প্রকল্পের আওতায় জেলায় দুই হাজার ২ শত জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বিষয়ক এবং ৭৮০ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন বিষয়ক কারিগরী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এ জাতের পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০ দিনে মধ্যে বিঘায় ১২০ থেকে ১৫০ মন উৎপাদন হয়। গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ প্রতি বিঘায় চাষ করতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।

আবহাওয়া অনূকুল হওয়ায় এ পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকি কম। নভেম্বর-ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি ক্ষেত থেকে এ পেঁয়াজ ওঠানো হয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –