• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন খানসামার ৩০ পানচাষি

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২২  

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে। উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নে এই পানের বরজ তুলনামূলক বেশি। গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামের এই পান চাষকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আর্শীবাদ মনে করে পানচাষীরা। গেল ১০ বছর পূর্ব থেকে বর্তমানে উপজেলায় পানের আবাদ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৭.৬ একর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার দুবলিয়া গ্রামেই ৯৫ ভাগ পান চাষ করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ৩০টি পরিবার এই পান চাষের সাথে জড়িত।

দুবলিয়া গ্রামের পানচাষি ক্ষিতিশ রায় বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাচি পান চাষ করা হলেও মোট চাষের ৮০ ভাগই মিষ্টি পান চাষ করি আমরা। এখানকার সব পরিবার এক সময় ব্যবসা আর শখের বসে পানের বরজে পান চাষ শুরু করেন। গ্রাম কিংবা শহরে অতিথি আপ্যায়নে এ পানের এখনো চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও চুন ছাড়া পান পাতার রস আর কাঁচা সুপারির রস হার্টের উপকারিতা ছাড়াও ছাঁচি পানের রস দিয়ে যৌনরোগের ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রামের কবিরাজরা বেশ নাম রেখেছে।

একই এলাকার আরেক পানচাষি রঞ্জনা রায় বলেন, পান চাষ করেই আমাদের সংসার চলে। আমি ও আমার স্বামী দু'জনেই পানের বরজে কাজ করি। ৩২ বছর ধরে পানের বরজ করে আসছি। বর্তমানে ২৩ শতক জমিতে পানের বরজ রয়েছে। প্রতিহাটে সপ্তাহে দুই দিন ১৩-১৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করি।

দিনাজপুর থেকে দুবলিয়া গ্রামে পান কিনতে আসা পান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ জানান, এখানকার পান সুস্বাদু হওয়ায় এ পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরেই এ এলাকা থেকে পান কিনে বাজারজাত করি। তারা পান চাষ করে এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, খানসামা উপজেলার মাটি পান চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত হওয়ায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে পানের চাষ করে চাষিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পানের চাষ করেছে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –