• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা: ২ তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণে সমনজারি

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষের পর্যায়ে। আগামী ৩০ মে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সমনজারি করা হয়েছে। এই দুইজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই যুক্তিতর্ক শুরু হবে। এরপর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য হবে।

সোমবার (২৩ মে) দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩০ মে এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমনজারি করেছেন আদালত। একইদিনে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া কর্মকর্তাকেও আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে। এই দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই চাঞ্চল্যকর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে।

পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, সোমবার ধার্য তারিখে বিচারক এই চাঞ্চল্যকর মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৩০ মে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সমনজারি এবং পৃথকভাবে ওই দুই সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য দিতে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে আদেশ দিয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই মামলার ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম ও অভিযোগপত্র দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক জাফর ইমামের সাক্ষ্যগ্রহণ হলেই মামলার সাক্ষ্যপর্ব শেষ হবে। এরপর মামলা ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষা এবং যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক।

গত ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর দিনগত মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত হওয়া মালি শফিউল ইসলাম (৩৫), তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দীন শেখ বাদী হয়ে পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। পরে ওই মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

ওই মামলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্ত মালি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন। মামলার একমাত্র আসামি রবিউল এখন দিনাজপুর কারাগারে রয়েছেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –