• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

কাহারোলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র হাঁস-মুরগি বিতরণ

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-কৈকা প্রকল্পের আওতায় ৫ বছরের নীচের শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের মাঝে পুষ্টিমান উন্নয়নে হাস-মুরগী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার ১ নং ডাবোর ইউনিয়নে ৬৫টি পরিবারের প্রত্যেকে ৯টি করে ৫৮৫টি মুরগী এবং ৮০টি পরিবার প্রত্যেকে ১২টি করে ৯৬০টি হাঁস বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ করেন ১ নং ডাবোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, সদস্যবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

জানা যায়, প্রকল্পটি ২০২১ সাল হতে কাহারোল উপজেলার ডাবর, রসুলপুর, তাড়গাও এবং সুন্দরপুর ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে অতিদরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে চাল, ডাল ও তেল বিতরণ, হাঁস-মুরগি পালন এবং সব্জি চাষ প্রশিক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও সব্জি বীজ বিতরণ, শিশুদের জন্য পুষ্টিকলা বিতরণ ইত্যাদি। 

ডাবোর ইউনিয়নের পাশাপাশি রসুলপুর, তাড়গাও এবং সুন্দরপুর ইউনিয়নে ও কৈকা প্রকল্প ১২৬টি পরিবারের মাঝে মোট ১১৩ টি মুরগি এবং ৩০৯টি পরিবারের মাঝে ৩৭০৮টি হাঁস বিতরণ করে। হাঁস-মুরগি বিতরণের পাশাপাশি প্রকল্পটি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে হাঁস-মুরগি পালনের ঘর ও সরবরাহ করছে। এ কাজের মধ্যে দিয়ে পরিবারগুলোর মাঝে হাঁস-মুরগি পালনের উৎসাহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরো জানা যায়, এ প্রকল্পের কিছু উদ্ভাবনী কর্মসূচী রয়েছে যা অন্য যেকোন প্রকল্প থেকে পৃথক। এদের মধ্যে শিশুদের পুষ্টি উন্নয়ন, মেধা বিকাশ এবং গর্ভবতী মায়েদের সেবা নিশ্চিতকরণে নারীদের পাশাপাশি বাবাদের ভূমিকা নিশ্চিত করা। যাতে করে জেন্ডার বৈষ্যম্য দুর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। অন্য আরেকটি ভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাড়ি পর্যায়ে পাড়ার সদস্যদের অংশগ্রহণে শিশুদের জন্য খিচুড়ি রান্না এবং তাদের আড়ম্বরপূর্ণ খাবার অয়োজন যা ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম বাড়াতে সক্ষম। এই খিচুড়ি রান্না এবং শিশুদের খাওয়ানোর পদ্ধতি মায়েদের অভ্যাসটাকে পাল্টে দিচ্ছে যা তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, তিন বছর মেয়াদের এই প্রকল্পটি কাহারোল উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৮ হাজারের বেশি শিশুর পুষ্টিমান স্বাভাবিক পর্য়ায়ে উন্নীত করছে এবং শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা এবং তাদের মেধা বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

প্রকল্পটি গ্রামের জনগণ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ফলে জনগণের অংশগ্রহণে প্রকল্পটি তার লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত এগিয়ে চলছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –