• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নবাবগঞ্জে জহুরুলের মিশ্র ফল বাগানে ৫০ জনের কর্মসংস্থান

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২  

নবাবগঞ্জে জহুরুলের মিশ্র ফল বাগানে ৫০ জনের কর্মসংস্থান                       
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে সফল হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জহুরুল ইসলাম। উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর মৌজায় তিনি ‘গ্রিনজোন প্রজেক্ট’ নামে একটি ফল বাগান করেন। মাত্র ৮ বিঘা জমি দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন সেই বাগান ৬০ বিঘায় উন্নীত হয়েছে। 

এখন এই সাবেক সেনাসদস্যের বাগানে অর্ধশত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতিদিনই তার ফল বাগান দেখতে আসেন অনেক দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তা। তার সাফল্য থেকে উৎসাহ পেয়ে এলাকায় অনেকেই গড়ে তুলছেন ফলের বাগান। 

জহুরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর জীবনে সময় কাটানোর জন্য তিনি সখের বসে ২০০৯ সালে মাত্র ৮ বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম হাড়িভাঙ্গা প্রজাতির আমের বাগান দিয়ে তার ফল বাগানের যাত্রা শুরু করেন। আমের বাগানে লাভবান হওয়ায় আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পরবর্তী সময়ে তিনি পর্যায়ক্রমে তার বাগানে থাইপেয়ারা, ড্রাগন, ত্বিন ফল, মিশরীয় মাল্টা, কাশ্মিরী কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলা, আনার, কাটিমন আম, গৌরমতি আম, সুর্যডিম আম, অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ২৩ ধরনের ফলগাছ সংযুক্ত করেন। 

বর্তমানে তার বাগানে ৬ হাজার ড্রাগন ফলের গাছসহ মোট ১৮ হাজার ফলের গাছ রয়েছে। গাছে গাছে সোভা পাচ্ছে বাহারি ফল। বর্তমানে তার বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন, থাইপেয়ারা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। তার বাগানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক সারাবছর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

আগামী বছর থেকে তিনি তার বাগান থেকে কোটি টাকা লাভের আশা করছেন। ভবিষ্যতে তার ফল বাগানে আরও দেশি-বিদেশি ফল সংযুক্ত করে একটি ফল গবেষণা কেন্দ্র ও ফল প্রদর্শনী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।

বাগান সংলগ্ন চামুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা আ. মান্নান বলেন, জহুরুল ইসলাম তার বাগানটিতে নতুন নতুন অচেনা বিদেশি পুষ্টিকর বিষ মুক্ত ফলের চাষ করছেন। তার বাগানের মাধ্যমে এলাকায় একটি কৃষি বিপ্লব ঘটেছে। পাশাপাশি অনেক দরিদ্র অসহায় পরিবারের কর্ম সংস্থান হয়েছে। তার সাফল্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় এখন অনেকেই ফলবাগান তৈরি করছেন। 
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জহুরুল ইসলাম তার বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তার এই মিশ্র ফল বাগান দেখে এখন এলাকায় অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
#দৈনিক ইত্তেফাক।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –