• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিরামপুরে বিভিন্ন রবিশষ্যের পাশাপাশি পেয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২  

বিরামপুরে বিভিন্ন রবিশষ্যের পাশাপাশি পেয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা            
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় লাভের আশায় ফসলের মাঠে বিভিন্ন রবিশষ্যের পাশাপাশি পিয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দেশি পিয়াজের গুণগত মান ও দাম ভাল পাওয়ায় পিয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন তারা।

ফসলের মাঠে দেখা যায়, প্রায় মাঠে বিভিন্ন রবিশষ্যের পাশাপাশি প্রতি জমির একাংশে পিয়াজ রোপণ করছেন কৃষক। বিঘাপ্রতি ৩০ কেজি পটাস, ৫০ কেজি ফসফেট ও ১৫ কেজি ইউরিয়া সারের পাশাপাশি গোবর মিশিয়ে পিয়াজ চাষের জমি তৈরি করছেন তারা। এক বিঘা জমিতে প্রয়োজন ২০ হাজার টাকা পিয়াজের বীজসহ মোট খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। আশ্বিন মাস থেকে পিয়াজ রোপণ শুরু করে, তা অগ্রহায়ণ মাসেই বাজারজাত করবেন কৃষকরা। গড়ে তিন মাস সময়ে এই ফসল ঘরে তোলা যায়। ভাল ফলন হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকার পিয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান চাষিরা।

মুকন্দপুর গ্রামের পিয়াজ চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, পূর্ব পুরুষের আমলে দেখেছি অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েক শতক জমিতে পিয়াজ চাষ করতো। কিন্তু এখন দেশে পিয়াজের চাহিদা এবং দাম ভাল পাওয়ায় অনেক বেশি জমিতে চাষ করা হয়। আমি এক বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষ করছি। গতবারও বাজার ভাল পেয়েছি। আশা করি এবারও দাম ভাল পাবো।

কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে দেশের পিয়াজের বাজার অস্থির ছিলো। ২০০ টাকা কেজি দরেও পিয়াজ কিনে খেতে হয়েছিলো। পিয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার কারণে দাম আরও বেড়ে যায়। কৃষকরা পিয়াজ চাষে মনোযোগী হয়। ফলে বাজারে কমতে থাকে পিয়াজের দাম। বর্তমানে এ এলাকার সবাই পিয়াজ চাষ করছি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে বিরামপুরে ১২৫০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষ করছেন কৃষক। তার মধ্যে ৪ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজসহ সার প্রদান করেছে। কৃষি সেবাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, জানা যায় প্রতিবছর দেশে পিয়াজ উৎপাদিত হয় চাহিদার ৫৭ শতাংশ। ফলে আমদানির উপরই বাজারে পিয়াজের দাম ওঠানামা করে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –