• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিনাজপুরে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচুর গুটি 

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৩  

 
কদিন আগের সোনালী মুকুলের আস্তরণে ছেয়ে যাওয়া লিচু গাছের চেহারা পাল্টেছে। মুকুল ঝরে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচুর সবুজ গুটি। গাছে গাছের গুটির আধিক্য দেখে ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন দিনাজপুরের চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাই গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চাষিদের ধারণা, এবার আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে আছে। তাই গাছে গাছে গুটিও ভালো হয়েছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার দিনাজপুরে লিচুর ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন হবে। দিনাজপুরে সারি সারি লিচু বাগান আর সুস্বাদু ও বাহারি জাতের লিচুর কথা উঠলেই সবার আগে চলে দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার নাম। এ দুই উপজেলার লিচুর স্বাদ সুমিষ্ট।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নূর মোর্শেদা রেবেকা সুলতানা বলেন, গত বছর দিনাজপুরে লিচুর চাষ হয়েছিল ৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। এবার ১০ হেক্টর বেড়েছে। গতবার ৬১৬ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হলেও এবার ৭০০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভাবনা আছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার মাধবমাটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাদ্রাজি, বেদানা, বোম্বাই, চায়না-৩, কাঁঠালিসহ রসগোল্লা হিসেবে আখ্যায়িত লিচুর গুটি গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে।

মাশিমপুর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে লিচুর আবাদ করছি। গত বছর ভালো ফলন হয়েছিল। দামও ভালো পেয়েছিলাম। এবারও ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে। এ বছরও দামও ভালো পাবো বলে আশা করছি।

জেলার বিরল উপজেলার মাধববাটি গ্রামের লিচু চাষি জয়নুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া যদি শেষ পর্যন্ত ভালো থাকে এবারও লিচুর ফলন ভালো হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর আগেও লিচুর ‘অফ ইয়ার’ বা ‘অন ইয়ার’ ফলন হতো। এক বছর ভালো ফলন হলে পরের বছর আর হতো না। এখন আর সে রকম হয় না। পরিচর্যার কারণে এখন আর অফ বা অন ইয়ার বলে কিছু নেই। ফলে বাড়ছে ফলন। পরিচর্যার মাধ্যমে প্রতিবছরই ফলন বাড়াচ্ছেন চাষিরা। এবারো ভালো ফলনের সম্ভাবনা আছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –