আজ আমার জন্য আনন্দের দিন- প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ আমার জন্য আনন্দের দিন। যেসব মানুষের ঠিকানা ছিল না, ঘর ছিল না, তাদের মাথা গোজার ঠাঁই দিতে পারছি।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এদিন ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়। একযোগে এত ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে জমি ও ঘর করে দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন। মুজিববর্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পাশাপামশ মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নেতাদের সঙ্গেও এ সময় মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সত্যি আমার জন্য একটা আনন্দের দিন। কারণ এদেশের যারা সবথেকে বঞ্চিত মানুষ। যাদের কোনো ঠিকানা ছিল না। ঘর বাড়ি নেই। আজকে তাদেরকে অন্তত একটা ঠিকানা। মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করে দিতে পেরেছি। তার কারণ এদেশের মানুষের জন্যই কিন্তু আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি কিন্তু আমাদের কথাও চিন্তা করেননি। চিন্তা করেছেন বাংলার মানুষের কথা। যে মানুষগুলো ক্ষুধার অন্ন জোগাতে পারত না। একবেলা খেতে পারত না। যাদের কোন থাকার ঘর ছিল না। রোগে চিকিৎসা পেত না। ধুঁকে ধুঁকে যাদের মরতে হত। সেই ছোটবেলা থেকে তাদের দেখেছি। এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। কখনো নিজের জন্য পিছনে তাকাননি। নিজে কী পেলেন না পেলেন তা নিয়ে চিন্তা করেননি। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের কথাই চিন্তা করেছেন। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন।’
সেই ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন এদেশের মানুষের জন্য। বারবার তাকে হত্যায় চেষ্টা হয়েছে বারবার তাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত তার মধ্যেও তিনি কাজ করে গেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে।
স্বাধীনতার পর তিনি আমাদের যে সংবিধান দিয়েছিলেন সেখানেও প্রত্যেকটা মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা তিনি বলেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য এবং স্বাধীনতার পর তিনি শুরু করেছিলেন।
জাতির পিতার নেতৃত্বে গৃহহীন মানুষদের গুচ্ছগ্রাম কর্মসূচির মধ্যে শুরু হওয়ার কথা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে সাধারণ মানুষ যাদের ঘরবাড়ি নেই। তাদেরকে ঘর দেয়ার যে চিন্তাটা এটা কিন্তু তিনি করেছেন। সে কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের সকল সদস্যকে কিন্তু নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু আমি আর আমার ছোট বোন সেসময় বিদেশে ছিলাম তাই বেঁচে গিয়েছিলাম।’
‘এরপর দীর্ঘ ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। কারণ তখন যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল বিশেষ করে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন থেকে আমাদেরকে দেশে আসতেই দেবে না। এমনকি আমার ছোটবোনের পাসপোর্টটা পর্যন্ত রিনিউ করতে দেয়নি।’
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বভার নিয়ে দেশে ফিরে আসার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এক রকম জোর করে শুধু মানুষের কথা ভেবে এবং মানুষের শক্তি নিয়েই আমি দেশে ফিরি। আমার কেউ ছিল না। আমার কোননোথাকার ঘরও নেই। কোথায় যেয়ে উঠব তাও আমি জানি না। আমি কীভাবে চলবো তাও আমি জানি না। কিন্তু আমার কেবলই একটা কথা মনে হচ্ছিল আমাকে যেতে হবে। যেতে হবে এই কারণে, এই যে মিলিটারি ডিটেকটরদের দ্বারা নিষ্পেষিত হচ্ছে আমার দেশের মানুষ তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তার জন্য কাজ করতে হবে। আর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। যা আমার বাবা চেয়েছিলেন। সেই একটি আদর্শ সামনে নিয়েই আমি কিন্তু ফিরে আসি।’
‘আমি কখনো আমার ছোট ফুফুর বাড়ি, কখনো মেজো ফুফুর বাড়ি; এরকমভাবে দিন কাটাই। কিন্তু আমার লক্ষ্য একটাই সামনে ছিল, আমি কী পেলাম, না পেলাম সেটা বড় কথা না। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কতটুকু কী করব? আমি সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরেছি, দেখেছি বাংলাদেশের মানুষের কী অবস্থা, সুখ-দুঃখ হাহাকার!’
আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশার চিত্র দেখার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জনগণ কী দুভার্গ্যে পড়েছিল। কারণ জাতির পিতা সব পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। গৃহহীনদের ঘর দেবেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতাল করে স্বাস্থ্যসেবা দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেবেন। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। মানুষ একটি সুন্দর জীবন পাবে। এটি তো ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবের একমাত্র লক্ষ্য।’
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ‘ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে’
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ