• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

আলোচিত ইউএনও ওয়াহিদা খানম হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২  

দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে । দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মামলার ঘোষণার সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৪ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে বিচারক বদলির কারণে রায়ের তারিখ পরিবর্তন করে ২০ অক্টোরব পূর্ননির্ধারণ করা হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলাটির যে যুক্তিতর্ক হয়েছিল সেটির পুনঃ পর্যালোচনা করবেন নতুন বিচারক।  

দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে নতুন বিচারক হিসেবে বেগম সাদিয়া সুলতানা এই মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে । 

তিনি আরো জানান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম থেকে মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু মামলাটি শেষের দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে স্থানান্তর হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। মামলাটিতে মোট ৫৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখান্ত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত  হওয়ার কথা রয়েছে

২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে ইউএনওর সরকারি ডাক বাংলাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র‌্যাব কয়েক জনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। 

২০ সেপ্টেম্বর তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের এজলাসে উপস্থিত করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

২১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ইমাম জাফর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –