• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

ইউএনওকে বার্তা পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেনীর ছাত্রী

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২১  

“আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে আজ রাতে। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার জীবনটাকে রক্ষা করুন। হাতজোড় করছি।’
ঠিক এভাবে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারীর নম্বরের মুঠোফোনে খুদে বার্তা প্রেরণ করেছিল উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দি দোকানি পাড়া গ্রামের  সুলতান আলীর মেয়ে হাবিবা।

নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার এই বার্তা পেয়ে সদর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তী সহ ছুটে যান ওই গ্রামে। সোমবার রাতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় মেয়েটি।

মঙ্গলবার সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তি জানান, সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ইউএনও জানতে পেরে আমরা দুইজনেই সেখানে যাই।

ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, তার সরকারি মোবাইল নম্বরে ওই কিশোরী একটি খুদে বার্তা পাঠায়। বার্তা পেয়ে  ঘটনাস্থলে  গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিয়ের কুফল এবং শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়। পরে অভিভাবকরা প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং মুচলেকা প্রদান করে।

বাল্য বিয়ে হতে রক্ষা পেয়ে হাবিবা জানায় আমি লিখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হতে চাই। এরপর বিয়ের চিন্তা। তার আগে বিয়ে করবোনা।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –