• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ইউএনও’র ওপর হামলা: প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরা পড়ল মূলহোতা রবিউল

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম শতভাগ সফল বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ, আলামত, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী রবিউলই একমাত্র আসামি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম অবস্থায় র‌্যাবের দাবি করা আসাদুলকে রিমান্ডে বলেছে- ঘটনাটি সেই ঘটিয়েছে। কিন্তু তার কথার সঙ্গে ফুটেজ, আলামত বা বর্ণনা মেলেনি। সে যাদের কথা বলেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। শেষে আসাদুল স্বীকার করেছে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পরে ভিন্ন দিক থেকে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়। ইউএনওর সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে বা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হতে পারে- এমন প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন আঙ্গিকে তদন্ত করেও যখন ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন সামনে আসে রবিউল ইসলামের সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি। এরপর রবিউলকে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এক পর্যায়ে একটি মোবাইল নম্বর হাতে আসে, যেটিতে দিনাজপুরের বিরল থেকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছিল। নম্বরটি রবিউলের কিনা নিশ্চিত হতে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রবিউলের স্ত্রী বারবার স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও মোবাইল নম্বরের কথা বলতেই তিনি থমকে যান। পরে বিভিন্ন উপায়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে রবিউলই সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টায় নিজ বাড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে রবিউল স্বীকার করে যে হামলার সঙ্গে সে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে কোথায় কতক্ষণ ছিল সব তথ্য দিয়েছে রবিউল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে রবিউলের কথার মিল রয়েছে।

ঘটনার রাতের বর্ণনায় যা জানালেন রবিউল:

সেদিন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাড়ির কাছের একটি স্থানে ১০ মিনিট অতিবাহিত করেছিল রবিউল। এর কারণ হিসেবে সে জানায়, তার প্যান্টে কাঁটা তারে আটকে গিয়েছিল। ফুটেজে দেখা গেছে- তার হাতে লাঠি ছিল। কিন্তু হামলা করেছে হাতুড়ি দিয়ে, তাহলে লাঠি ছিল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সে জানায়, রাস্তায় গভীর রাতে কয়েকটি কুকুর থাকে। কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচতেই সে লাঠি নিয়েছিল। গভীর রাতে ঘোড়াঘাটের ওই রাস্তায় গিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আসলেই সেখানে কয়েকটি কুকুর থাকে।

জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, রবিউলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি হাতুড়ি, আলমারির চাবি, মই ও লাঠি উদ্ধার করা হয়। তবে রবিউল সেদিন যেসব কাপড়, টুপি ও মাস্ক পড়ে ছিল সেগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। এজন্যই সিসি ক্যামেরায় তার হাতে ব্যাগ দেখা গিয়েছিল, ব্যাগে জামাকাপড় ছিল।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –