• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

উৎপাদিত সরিষা থেকে সোয়া কোটি লিটার ভোজ্যতেল উৎপাদনের আশা

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। জেলায় উৎপাদিত সরিষা থেকে এবার ১ কোটি ১৮ লাখ লিটার ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে।

বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে অস্থিরতা শুরুর পর ধানের জেলায় কৃষকরা সরকারি সহায়তা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে তেলজাতীয় সরিষার ব্যাপক চাষ করেছেন।

সরিষার ফলনে কৃষক এবং কৃষি বিভাগ উভয়েই বেশ খুশি। এভাবে সরিষার চাষ হলে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।

দিনাজপুরের প্রধান ফসল ধান হলেও এ জেলায় লিচু, কয়লা, পাথর, মধু উৎপাদন হয়। এবার দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক হারে সরিষার চাষ হয়েছে। দিনাজপুরে ২২ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর বেশি।

বিরল উপজেলার বাজনাহার গ্রামের কৃষক ওয়াহেদুল আলম জানান, তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি সরিষা কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন। বিঘাপ্রতি আট থেকে ৯ মণ করে সরিষা পাবেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী সরিষা বিক্রি করলে প্রতি বিঘার সরিষা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। এতে তার বিঘাপ্রতি লাভ হবে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাড়তি আয়ের পাশাপাশি পরিবারের ভোজ্যতেলের চাহিদাও মিটবে। আগামী বছর আরও বেশি সরিষা চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।

তেল প্রস্তুতকারক ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৯ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন সরিষা দিয়ে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ লিটার ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব।

দিনাজপুরের মা ওয়েল কারখানার মালিক নন্দ শাহা জানান, প্রতি মণ (৪০ কেজি) সরিষা থেকে তেল পাওয়া যায় ১৬ লিটার। অর্থাৎ এক মেট্রিক টন সরিষা থেকে তেল উৎপাদন হয় ৪০০ লিটার। সে হিসাব অনুযায়ী ২৯ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন সরিষায় তেল উৎপাদন হবে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ লিটার।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান করতে কৃষকদের এবার সরিষা আবাদে উৎসাহিত করা হয়েছে। ৪৩ হাজার কেজি সরিষার বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাড়ে ৪৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সারও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দিনাজপুরে গত বছর ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে ২২ হাজার ৭৪০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। এই জমিতে এবার ২৯ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে।

উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান জানান, সরিষা থেকে তেল পাওয়া যায়, ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। সে হিসাবে ২৯ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন সরিষায় ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে ১১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন।

সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় অবদান রাখার পাশাপাশি ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতেও জেলায় সরিষা আবাদ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –