• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যাব- প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ৮১ সালে আমি দেশে ফিরে আসি। স্বাভাবিকভাবে আমার চেষ্টাই ছিল যে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সয়েছেন- এ দেশের সেই মানুষের জন্য কিছু করে যাব, সেটাই ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাবা-মায়ের লাশও দেখতে পাইনি। কবরও জিয়ারত করতে পারিনি। দেশে আসতেও পারিনি। এভাবে আমাদের বাইরে পড়ে থাকতে হয়েছিল। এতিম হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে বিদেশের মাটিতে রিফিউজি হয়ে থাকার কী কষ্ট, এটা যারা আমাদের মতো ছিল তারা জানে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে আজ শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ৫০ হাজারবার কোরআন খতম উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আর আমরা কী সহ্য করে আছি। শুধু একটা চিন্তা করে যে, এই দেশটা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আমার যতটুকু সাধ্য সেইটুকু করে দিয়ে যাব, যেন তাঁর আত্মাটা শান্তি পায় এবং এই রক্ত যেন বৃথা না যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) যারা হত্যা করেছে, তারা ঘৃণ্য। তাদের বিচার করেছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই শক্তি দিয়েছেন আমাদের। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে দিয়ে তাদেরকে বিচার করতে পেরেছি। এতে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণকে, যারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন এবং আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনকে, যারা সব সময় আমার পাশে থেকে আমাকে শক্তি জুগিয়েছে, একটা পরিবারের মতো আমি পেয়েছি।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। জাতি হারিয়েছে তার নেতাকে, আর আমরা হারিয়েছি, আমার ছোট বোনটি এবং আমি, সেই সঙ্গে আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আমরা আপনজনদের হারিয়েছি হঠাৎ একদিন।

সরকারপ্রধান বলেন, আজ একটা হত্যাকাণ্ড হলে সবাই বিচার চাইতে পারে, মামলা করতে পারে। আমরা ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছিলাম, আমাদের কারো মামলা করবার বা বিচার চাইবার অধিকার ছিল না। সেই অধিকার আদায়ের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে শিশু রাসেল নিহত হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ভাইটি- আমি এখনো এই প্রশ্নের উত্তর পাই না। তার মাত্র ১০ বছর বয়স। তার জীবনের স্বপ্ন ছিল, সে একদিন সেনাবাহিনীতেই যোগদান করবে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, তাকে সেই সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করল। তার অপরাধ কী? আমি জানি না।

সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –