• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

এগিয়ে চলছে উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১  

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলাসহ উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহের মানুষের স্বপ্নের তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সেতুর ৭নং পিলারের পাইলিং ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্মাণ কাজ সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর, উপসহকারী প্রকৌশলীসহ প্রকল্পে নিয়োজিত অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রতিদিন হাজার উৎসক জনতা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখার জন্য ভীর করছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গত বছরের ৬ জুলাই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়। ২০১২ সালে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে তিস্তা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণের কাজের সূচনা হয়। সিডিউল মোতাবেক নির্মাণ কাজ এগিয়ে গেলে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে উপজেলার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু নির্মাণসহ সংযোগ সড়কের কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহণ এবং সেতু নির্মাণের কাজ বিলম্বিত হয়। এমতাবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য উপস্থাপন করলে গত বছরের ৬ জুলাই একনেক অনুমোদন দেন এবং কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন। হরিপুর সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়কে রূপান্তরের কাজ এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।

কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করা হবে তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি। এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয় দিকে নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭.৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –