• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে ঘর প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১  

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধাপে কুড়িগ্রামে ১০৭০জন গৃহহীনকে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন। রোববার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারকে দুইশতক জমিসহ সেমি পাকাঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামে ৯০টি ঘর নিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি উপজেলার সাথে সম্পৃক্ত হন। এরমধ্যে কুড়িগ্রামের সাথে তিনি প্রথম সংযুক্ত হন। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন ও উপকারভোগী রিক্সাচালক আক্কু মিয়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, রংপুর রেঞ্জর ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য,  কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াছমিন জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারি বরাদ্ধে ১০৭০টি ঘর প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানান। নদী ভাঙন ও বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য সকলের পক্ষ থেকে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন উপকারভোগীর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে নতৃন ঘর পাওয়া রিক্সাচালক আক্কু মিয়া আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে জানান, ‘আমার কোন জায়গা জমি নাই। আমি রেলের জায়গায় থাকি। সেই কষ্ট। আমি একদিন রিক্সা চালায়ে বাড়িত আসি শুনি ঘরের জন্য আমার নাম নিয়া গেইছে। কথাটা শুনি বুকটা যেন ভিজে গামছা দিয়া  ঠান্ডা হয়া গেল। সেই রকম আমি খুশি। বলার মত নয়। আমি বাড়ি নয় যেন ভবিষ্যৎ একটা ঠিকানা পাইলাম। নতুন একটা জীবন ফিরি পাইলাম। এখানে দুই শতক ঘর, দুইটা থাকার ঘর, রান্নাঘর, লেট্রিন, বিদ্যুৎ ও নলকুপ পাইছি। আমাদের এখানে দুইটা পুকুর আছে, মাঠ আছে। আমরা মাছ মারি খাইতে পারবো, ছাগল পালন করতে পারবো। ছেলেমেয়েদেল লেখাপড়া শেখাতে পারবো। আমরা আপনার জন্য দোয়া করবো। আপনার বাবার জন্য, আপনার মায়ের জন্য দোয়া করবো।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমার একটাই লক্ষ তার স্বপ্ন পুরণে একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে। মানুষের বাসস্থান, খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাবো। মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে  ১লাখ ১৮হাজার ৩৮০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান বিশে^ বিরল ঘটনা। বক্তব্যে পধানমন্ত্রী বলেন গৃহহারা ও ভূমিহীন বা ক্ষতিগ্রস্ত কেউ থাকলে তা জানান। আমরা তাদের জন্য ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করে দিবো। আমি মনে কররো এটুকু করলে আমারা বাবার আত্মাটা শান্তি পাবে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তিনি আহবান জানান। 

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩হাজার ৫৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূণর্বাসন করা হয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –