• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, দুর্ভোগে জনজীবন

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩  

মাঘের শীত বাঘের গায়, মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। বাংলা সাহিত্যে মাঘ মাসের শীত নিয়ে এমন কয়টি প্রবাদ বহুল প্রচলিত। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে মাঘের তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। সোমবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টার পরও দেখা মেলেনি সূর্যমামার।

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত নিবারণের জন্য অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার চিলমারী নৌ-বন্দর ও সদরের মোগলগাছা নৌ-ঘাট থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিলম্বে নৌ-যানগুলো চলাচল করছে। পাশাপাশি সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়েই চলছে যানবাহনগুলো। কুড়িগ্রামের আন্ত:নগর ও লোকাল ট্রেনগুলো কুয়াশার কারণে ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে।

কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী যাওয়া মমিনুল ইসলাম বলেন,' সকাল ৭টায় ষ্টেশনে আসছি। সোয়া ৭টায় ট্রেন অথচ কুয়াশার কারণে ট্রেন দুই ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে।'

পৌরসভার বাসিন্দা অমিত পাল বলেন, 'বেলা সাড়ে ১১টা বাজতে চললো । অথচ রোদের দেখা এখনো মিলছে না। এ অবস্থায় কাজ করা খুব অসুবিধা হয়ে পড়েছে।'

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, সোমবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্য প্রবাহ আগামী দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, 'জেলার প্রা‌ন্তিক জন‌গো‌ষ্ঠীর শী‌তের কষ্ট লাঘ‌বে জরুরি ভি‌ত্তি‌তে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অ‌ধিদপ্তরের বরাদ্দ দেওয়া এ অর্থ জেলার ৯ উপ‌জেলায় দেওয়া হয়েছে।'

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –