• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

কূটনৈতিক ও মিডিয়া ক্যু করার পরিকল্পনা বিএনপির

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২২  

এবার কূটনৈতিক ও মিডিয়া ক্যু করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে  উল্টো কার্যক্রম চালাচ্ছে দলটি।

জানা গেছে, বিএনপিপন্থী কূটনীতিকদের সহায়তায় মিডিয়া ক্যু করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান তারেক। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি, ফান্ড গঠন, লবিস্ট নিয়োগ ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে মতবিনিময় করতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ডাক পড়ে লন্ডনে। 

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আদেশে আগামী সপ্তাহে লন্ডন যেতে পারেন বিএনপির এ ব্যবসায়ী নেতা। সব ঠিকঠাক থাকলে লন্ডনের অদূরে নটিংহ্যাম ফরেস্ট এলাকার এক বিএনপি নেতার বাগানবাড়িতে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে মিন্টুর।

লন্ডনে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এমন একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লন্ডনের কিংস্টন এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায় এখন বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করেন তারেক। তাই কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি ও মিডিয়া ক্যু করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি।

তারেককে এ পরামর্শ দিয়েছেন তার আন্তর্জাতিক লবিস্ট ও আইনি পরামর্শক লর্ড কার্লাইল। তাই কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ দাবি করে এবং সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরতে মিডিয়া ক্যু করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে রাজি হয়েছেন তারেক। সেজন্য অবশ্য কার্লাইল বিভিন্ন সংস্থাকে উৎকোচ প্রদানের লক্ষ্যে ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের ফান্ড গঠনেরও পরামর্শ দেন তারেককে।

সূত্রটি আরো জানায়, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লবিংয়ে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সেটি লন্ডন থেকে সংস্থান করতে পারবেন না তারেক। কারণ অবৈধ ও সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন, অর্থের উৎসের তথ্য না দিতে পারায় তারেকের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই এত বড় মিশন কমপ্লিট করতে যে অর্থের প্রয়োজন সেটির সংস্থান করতে মিন্টুর সহায়তা চান তারেক রহমান। কারণ মিন্টুর লন্ডনে প্রচুর সম্পদ রয়েছে।

এদিকে লন্ডন বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে, এ মিশন সফল হলে মিন্টুকে স্থায়ী কমিটির পদ দেওয়াসহ আগামীতে সরকার গঠন করলে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ারও প্রলোভন দেখিয়েছেন তারেক। এখন মিন্টু দলের এমন পরিস্থিতিতে অর্থ খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটি দেখার বিষয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –