• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দিনাজপুরের পান চাষিরা

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২১  

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন, গত বছর বন্যা এবং বিভিন্ন রোগের কারণে সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দিনাজপুরের পান চাষিরা। করোনার প্রথমদিকে ক্রেতা সংকট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। কিন্তু সে অবস্থা এখন কেটে যাওয়ায় চাহিদার পাশাপাশি ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় তারা খুশি। পানের বরজে আবারও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

অন্যান্য ফসলের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ফসল হিসেবে পান চাষ তুলনামূলক খরচ কম এবং লাভজনক। মৌসুমে পানের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য ভাল থাকায় দিনাজপুরের হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ এই চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন। তাই করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা পান চাষে সরকারি প্রণোদনা চেয়েছিলেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুরের সীমান্তবর্তী কাটলা, ঘাশুরিয়া ও মাধবপাড়া এলাকার ৩৬ হেক্টর জমিতে এখন কেবলই সবুজের সমারোহ। রোপণের ছয় মাসেই প্রতিটি পান বরজে এখন পরিপক্ক পানপাতা। সীমান্তবর্তী এই তিন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক পানের বরজ। আবার লাভের আশা করছেন চাষিরা। সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার পানের চাহিদাও রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে ভারত থেকে পান আসা বন্ধ না হলে, আবারো তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান চাষিরা। হিলি বাজারে পান বিক্রি করতে আসা সোহরাব হোসেন জানান, এখন বাজারে চাহিদা ও দাম ভাল হওয়ায় খুশি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় হাকিমপুর উপজেলায় গত বছর ২৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এবার তা বেড়ে ৩৬ হেক্টর জমিতে ৩৫৫টি বরজে পানের আবাদ হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় পানের চাষ বাড়ানোর পাশাপাশি পান চাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরের বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, খানসামা উপজেলায় পান চাষ হয়। একবার পান গাছ হলে ১৫-২০ বছর প্রতিনিয়ত পান পাওয়া যায়। পান চাষে উঁচু বেলে দোআঁশ মাটি বেশ উপযোগী। বাঁশের কঞ্চি ও খড় দিয়ে ঘেড়া আর উপরের ছাউনি দিয়ে তৈরি দেখতে বাড়ির মতো এসব পানের বরজ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –