• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

খানসামায় দোলনা তৈরি করেই স্বাবলম্বী সিরাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২  

জীবিকার বৈচিত্র্য মানব সভ্যতাকে করেছে বৈচিত্র্যময়। জীবিকার সঙ্গে যদি শখ আর স্বাচ্ছন্দ্যের যোগ হয় তাহলেই তা হয়ে উঠতে পারে অনন্য। মানুষ শুধু পেশার প্রয়োজনে কাজ করে না, দরকার হয় আত্মিক খোরাকেরও। সেই খোরাক শুধু নিজেকেই আনন্দ দেয় না, আশপাশের মানুষের জন্যও আনে সুখের বার্তা। 

এমনি একজন দিনাজপুরের খানসামার সিরাজুল ইসলাম। শিশুদের জন্য দোলনা তৈরি করেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। তার বাড়ি উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট এলাকায়। মূল সড়কের ধার ঘেঁষেই তার দোলনা তৈরির কারখানা। প্রতিদিনই এ কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় সিরাজুল ও তার পরিবারকে। নব্বই দশকের শুরুতে দোলনা তৈরিতে হাতেখড়ি তার। তিন দশক পেরিয়ে সে যাত্রা আজও চলমান। সময়ের পরিক্রমায় ব্যবসা বেড়েছে। যুক্ত হয়েছে নতুন কর্মী। কলেবর বেড়েছে কারখানার। অস্বচ্ছল জীবনে এসেছে স্বচ্ছলতার স্বাদ।

জানা যায়, বাঁশ, প্লাস্টিকের ফিতা ও পেরেক দিয়ে দোলনা তৈরি করেন তিনি। প্রতি মাসে গড়ে ২৪০-২৫০টি দোলনা তার কারখানা থেকে তৈরি হয়। দোলনাগুলো আকারভেদে বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকায়। দোলনা তৈরির কারিগর সিরাজুল, তার ৩ ছেলে ও নাতিরা। মাসে তাদের আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। 

খানসামা উপজেলার পাশাপাশি এসব দোলনা দিনাজপুর ও পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় পাইকারী দরে বাজারজাত করে থাকেন সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে এ কাজের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত। এতে যেমন আমি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি তেমনি আমার ছেলেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে বর্তমানে দোলনা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে।  

গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, হাতে তৈরি এসব দোলনার ঐতিহ্য ধরে রাখতে সিরাজুল ইসলাম অনেক বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তাদের কাজ প্রশংসার। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –