• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

খানসামায় রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্নে কৃষকরা

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২২  

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রসুন। এ রসুন আবাদে বার বার লোকসান। তারপরও ‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত রসুন আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বাড়লেও, বাড়েনি রসুনের দাম। বরং বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত বছরে রসুনের মূল্য বঞ্চিত হলেও এবছর কৃষকেরাই রসুন চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় দুই হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল তিন হাজার ৭৫০ হেক্টর। এ বছর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কমেছে রসুনের আবাদ। তারপরও সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর উপজেলায় রসুনের ভাল ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন বেশি চাষ করা হয়েছে। কেউ বা রসুনে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন আবার কেউ বা যত্ন নিচ্ছেন।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম থাকলেও শেষ সময়ে এসে দাম পায়নি কৃষকরা। দাম ভাল না পাওয়ায় এ বছর অনেকেই কমে দিয়েছে রসুন চাষ।

ভাবকি ইউনিয়নের গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম জানান, এবছর পাঁচ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি। বিঘা প্রতি বীজ, সার-কীটনাশক ও সেচ বাবদ খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। বপন ও নিড়ানী সহ শ্রমিক খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এতে তার বিঘা প্রতি মোট ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

একই এলাকার বাবুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে তিন বিঘা জমি বর্গা (লীজ) নিয়ে রসুন আবাদ করেছেন। রসুন চাষে খরচ বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতি বিঘায় ৬-৭ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। উপায়ান্ত না পেয়ে এনজিও থেকে টাকা তুলে রসুনের আবাদ করেছেন। অনুকুল আবহাওয়া না পেলে অথবা ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেলে ঋণের টাকা দিতে পথে বসতে হবে তাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বাজারে দাম ভাল না থাকায় এবছর কমেছে রসুন চাষ। তবে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর হেক্টর প্রতি ১০ মে. টনের বেশি ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া রসুন চাষিদের উৎসাহিত করার জন্য উন্নত জাতের বারি রসুন-১ ও বারি রসুন-তিন চাষ করতে কৃষকদেরকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –