• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

গাইবান্ধায় প্রশান্তির খোঁজে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৩  

 
দেশজুড়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সামান্য প্রশান্তির খোঁজে গাইবান্ধায় মানুষ ছুটছেন ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের পৌরপার্ক, ডিসি অফিস, কাচারি বাজার, জেলা পরিষদ চত্বর, ট্রাফিক মোড়, ডিবি রোড, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকান বসেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শরবত। জেলার সাত উপজেলায় শতাধিক ভাসমান শরবতের দোকান রয়েছে।

শরবত বিক্রেতারা জানান, মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে চিনি, লেবু, তোকমা, ইসবগুলের ভুসি, শাহিদানা, অ্যালোভেরা ও উলটকমল দিয়ে শরবত তৈরি করা হয়। এসব শরবতের অনেক চাহিদা রয়েছে। তীব্র গরমে এ শরবতের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রত্যেক শরবতওয়ালা দিনে প্রায় ১৫০-২০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করেন।

গাইবান্ধা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই কলেজ শেষে পার্কে লেবুর শরবত খেয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছি।

শরবত খেতে আসা রিকশাচালক জহুরুল ইসলাম বলেন, সারাদিন রিকশা চালাই। শরীরকে ভালো রাখার জন্য ফলের শরবতের ওপর কিছু আছে বলে মনে করি না। তাই যখনই ক্লান্ত হই, তখনেই ফুটপাতের এসব দোকানে এসে শরবত পান করি।

সুমাইয়া জান্নাত নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল ছুটি হলেই লেবুর শরবত পান করি। তীব্র গরমে লেবুর শরবত শরীরে অন্যরকম আমেজ নিয়ে আসে। এক গ্লাস পান করলেই প্রশান্তি পাই।

গাইবান্ধা শহরের ঘোল বিক্রেতা সুনীল ঘোষ বলেন, তীব্র গরমে ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তবে শীতকালে কমে যাবে। প্রতিদিন ৯০-১৩০ গ্লাস ঘোল বিক্রি হয়। রিকশাচালক, শ্রমিক ও পথচারীরা বেশি ঘোল পান করেন। প্রতি গ্লাস ঘোল ১০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভালোই আছি।

এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরের এ জেলায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –