• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ঘোড়াঘাটে ঝরে যাচ্ছে লিচুর ফুল, লোকসানের শঙ্কা

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৩  

মৌসুমের শুরুতে লিচু গাছে প্রচুর পরিমাণ ফুল থাকলেও এখন যেন ফুলশূন্য পুরো বাগান। গাছের ফুল শুকিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এমন চিত্র দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। ছোট কিংবা বড়! সব বাগানেই মুকুল ঝরে পড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় লিচু চাষিরা।

চলতি বছর এ উপজেলায় লিচু গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। বাম্পার ফলনের আশায় ছিলেন চাষিরা। তবে  হঠাৎ লিচুর ফুল শুকিয়ে পড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শুরু থেকে পর্যাপ্ত পরিচর্চা করার পরও ঝরে যাচ্ছে লিচুর ফুল।

লিচুর জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর জেলা। এ জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় চাষ হয় প্রচুর পরিমাণ লিচু। বিশেষ করে চায়না থ্রি, বোম্বাই ও মাদ্রাজি জাতের লিচু এ উপজেলায় বেশি চাষ হয়। লিচুর রাজধানীতে ফুল ঝড়ে যাওয়ায় এ বছর উৎপাদন কম হবে বলে মত লিচু চাষিদের।

এ উপজেলার বাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, চায়না থ্রি ও বোম্বাই জাতের লিচু গাছের নিচে মাটিতে বিছিয়ে আছে শুকনা লিচুর ফুল। এসব ফুল গাছ থেকে শুকিয়ে ঝড়ে পড়ে গেছে। এসব জাতের অধিকাংশ গাছ প্রায় ফুল শূন্য। কিছু কিছু গাছে লিচুর সামান্য ফুল এবং গুটি ধরে আছে।

লিচুর ফুল ঝড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া জনিত সমস্যাকে দায়ী করছেন কৃষি বিভাগ। তারা বলছে, আবহাওয়ার তারতম্যতার কারণে যথাযথভাবে পরাগায়ন না ঘটায় লিচুর ফুল ঝরে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এই উপজেলায় মোট চাষযোগ্য জমি ১২ হাজার ১৮৪ হেক্টর। তার মধ্যে শুধুমাত্র লিচুর চাষ হয় ৬৩ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় লিচু চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০৪ মেট্রিক টন।

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে ৩ বছরের জন্য একটি লিচুর বাগান লিজ নিয়েছেন স্থানীয় রোকনুজ্জামান রোকনু। তিনি বলেন, চলতি বছর গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিল, তা অকল্পনীয়। তবে সব ধরণের পরিচর্যা করার পরও, অধিকাংশ ফুল ঝড়ে পড়ে গেছে। বাগানের অধিকাংশ গাছে ফুল ও গুটি নেই বললেই চলে।

ওসমানপুরে লিচুর চাষ করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এ বছর পানি দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে এবং শ্রমিকের মজুরি দেওয়াতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে। তা লিচু বিক্রি করে তোলা সম্ভব না। আমরা লোকসানে পড়ে গেলাম।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, যে সময় ফুলে পরাগায়ন ঘটে সে সময় আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সঠিক ভাবে পরাগায়ন ঘটতে পারেনি। কুয়াশা, বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার একমাত্র কারণ। ফলে লিচুর ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। অবশিষ্ট ফুল রক্ষায় আমরা চাষিদেরকে সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছি। এখনও গাছে যেটুকু ফুল আছে, তাতে আশা করছি আমরা লিচুচাষে কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারব।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –