• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

চিরিরবন্দরে রসুনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১  

দেশের সর্বাধিক রসুন উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবারও কৃষকরা ব্যাপক হারে রসুনের আবাদ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে চাষিরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা হালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন।

এবার সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ওই উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসূমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ৪৫৭ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষাবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও রসুনে ব্যাপক লাভবান হবে কৃষকরা।

চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা, বিন্যাকুড়ি, নশরতপুর, ফতেজংপুর, সাইতাড়া, আলোকডিহি তেতুঁলিয়া ও ভিয়েল গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও তারা ব্যাপক হারে রসুন আবাদ করেছেন। এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে, চারা এখন দ্রুত বেড়ে উঠছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের উৎপাদন। এ কারণে সকাল-সন্ধ্যা রসুনের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

রসুন চাষি জাকির হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক লাগছে। তাদের মজুরি ও খাবার বাবদ খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এছাড়া বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ দিতে আরো প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ মণ রসুন পাওয়া যাবে। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম হলেও পরবর্তীতে প্রতিমণ রসুন ২-৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। এতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমানে চিরিরবন্দর কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান ফসল হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও রসুনের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –