• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ডন-বাদশা-টাইগার কিনলে খাসি ফ্রি

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২  

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডন-বাদশা-টাইগার নামে তিনটি গরু কিনলে ক্রেতাকে একটি খাসি উপহার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন খামারি মনিরুল ইসলাম।

ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাজিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম। বাড়ির পাশে ছোট একটি খামারে ডন-বাদশা-টাইগারসহ ১৪টি গরু প্রায় তিন বছর ধরে পরিচর্যা করছেন। উদ্দেশ্য কোরবানিতে তাদের বিক্রি করবেন।

খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার খামারে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট উচ্চতার ডন-বাদশা-টাইগার নামে তিনটি বড় গরু রয়েছে। তিনটিই ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। তাদের তিন বছর ধরে লালন-পালন করছি। গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে দৈনিক সাড়ে চার কেজি গমের ভুসি, তিন কেজি ধানের গুড়া, দুই কেজি কলাইয়ের ভুসি, তিন কেজি খুদ ও ছয় আঁটি খড় খাওয়ানো হয়। এতে মাসে ১৮-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। 

তিনি আরও বলেন, ডন ৭ লাখ, বাদশা ৬ লাখ এবং টাইগারকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে। এই তিনটি গরুর সঙ্গে ৩টি বড় খাসি উপহার দেওয়া হবে ক্রেতাকে। আমার খামারে এই তিনটি গরু ছাড়াও আরও ১১টি গরু হাটে নিয়ে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে।

তিনটি গরুর সঙ্গে তিনটি খাসি উপহার দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, বড় গরু বাজারে নিয়ে যাওয়া-আসা অনেক কষ্টের। বিক্রি নাহলে যাতায়াত খরচ বেড়ে যায়। এজন্য ডন-বাদশা-টাইগারকে আমি বাজারে তুলতে পারছি না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ৩ গরুর সঙ্গে তিনটি বড় খাসি উপহার দিতে চেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ডনের ওজন ২৫ মণ, বাদশার ২৩ মণ এবং টাইগারের ওজন ২০ মণ হবে। গরু দেখতে ভিড় করছেন অনেক ক্রেতা ও স্থানীয়রা।

এদিকে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় মোট ২ লাখ ৫৮ হাজার ১০০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৯টি এবং ছাগল-ভেড়া ১ লাখ ৭২ হাজার ২৩১টি। জেলায় ছোট-বড় মিলে গরুর খামার রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৪৮টি এবং চাহিদা মিটিয়ে আরও ২৮ হাজার ৮৫২টি বেশি থাকছে।

দিনাজুপর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাপ হোসেন বলেন, খামারিদের নিরাপদ উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় যে পরিমাণে পশু প্রস্তুত রয়েছে তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –