• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ডিজিটাল বাংলাদেশর সুফল এখন ভোগ করছি- মোস্তফা জব্বার

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২০  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছেন। তার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। আমাদের এখন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। আমাদের ৩৮০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ আছে। সোমবার ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের করণীয়’ শিরোনামে অনলাইন সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট রেট ২৫ শতাংশ কম নিয়েছি। এরইমধ্যে ৬শ’র  মতো ক্যাম্পাসে ফ্রি কানেক্টিভিটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য বিনামূল্যে ব্যান্ডউইথের ব্যবস্থাসহ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়েও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা ক্লাস রুমকে যদি ডিজিটাল না করতে পারি তাহলে পিছিয়ে পরতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ল্যাবগুলোর যথাযথ ব্যবহার ও দেখাশুনা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করছি। অনেক প্রতিষ্ঠানের ল্যাব সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। আমাদের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির জন্য শিক্ষকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা হবে।

করোনা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া। এ সংকট থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার উত্তরণের জন্য আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।

সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও করোনার এ পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলো না। সবাইকে এখন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে আমাদের অনলাইন অ্যাডুকেশন সিস্টেমে যেতেই হতো। সেখানে আমরা অনেক আগেই এই সংকটকালীন সময়েই অনলাইন অ্যাডুকেশন চালু করতে পেরেছি।

‘গত ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের ক্লাস চালু করেছি। এছাড়াও অনলাইনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরিপ করে দেখেছি; ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাতে পেরেছি। বাকি যেসব শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইনে পৌছাতে পারছি না, তদের কাছে পৌছাতে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষকদের অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের যেন শিক্ষা জীবন ব্যাহত না হয়, তারা যেনো ঝড়ে না পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপার সঞ্চালনায় অনলাইন আলোচনায় আরো যুক্ত ছিলেন- বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল খালেক।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –