• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

তিস্তার চর পরিদর্শনে বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  

হঠাৎ করে দুই বিদেশি নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চর পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। কথা বলেছেন কৃষকদের সঙ্গে। তবে তারা কেন সেখানে এসেছেন সে বিষয়ে কৃষকরা কিছু বলতে পারছেন না।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার (জামিরবারী) শৌলমারি চরে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল।

কৃষকদের ধারণা- তিস্তা প্রকল্প হয়তো আলোর মুখ দেখছে। এখানে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই বিদেশি নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে তিস্তার চরে এসেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই তিস্তা নদীর পাড়ে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ কৃষকদের জন্য কলকারখানা হলে শুধু নদীই নয়, বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা। তাই হয়তো বাণিজ্যমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ কয়েকটি নামিদামি গাড়ি আসে তিস্তার শৌলমারী চরে। তখনো কেউ জানেন না ওই গাড়িতে বাণিজ্যমন্ত্রী রয়েছেন। গাড়ি থেকে নামার পর পুলিশ সদস্যরা কৃষকদের বলেন,‘গাড়িতে যিনি আছেন তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী।’ গাড়ি থেকে নেমে বাণিজ্যমন্ত্রী তিস্তার চরের কয়েকটি ভুট্টাক্ষেত পরিদর্শন করেন। ওই সময় একে একে তিস্তা চরের কৃষকরা জড়ো হন। পরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। 

কৃষকরা জানান, প্রতি বছর খরস্রোতা তিস্তার দুই পাড়ের বাসিন্দাদের বন্যায় ফসলহানি হয়। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হতে হয়। ধুধু বালুচরে তেমন কোনো চাষাবাদ করা যেত না। ফলে তিস্তার দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হতো। অনেকে সহায় সম্বল হারিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভাসমানদের তালিকায় নাম লেখাতেন। এই তিস্তায় কেমন ভুট্টা চাষ হয় এসব বিষয়ে প্রশ্ন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ওই সময় দুই বিদেশি নাগরিকও চর অঞ্চলের কৃষকদের চাষবাদ নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার বসুনিয়া বলেন, আমি পাটগ্রামে ছিলাম। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী আমার ওয়ার্ডে আসবেন এটা আমার ধারণা ছিল না। কৃষকদের সঙ্গে কী বিষয়ে কথা হয়েছে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবো। 

ভোটমারি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহেদুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী আসবেন এটা আমরা জানতাম না। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামার পরে জানতে পারি তিনি চরে আসবেন। উনার সঙ্গেই চরাঞ্চলে যাই। ওই এলাকার মানুষদের চাষাবাদ করে কেমন আয় হয় এসব বিষয়ে প্রশ্ন করেন মন্ত্রী। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী হঠাৎ করেই তিস্তার চরাঞ্চল পরিদর্শনে এসেছেন। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ওই সময় ওনার সঙ্গে দুই বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। ওনার প্রটোকল হিসেবে আমরা গিয়েছি। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রায় আধঘণ্টা পর তিনি চলে যান।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –