দিনাজপুর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি হয়েছে।এই ঘটনায় পুলিশকে অভিযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

এই চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বোরখা পরিহিত এক নারী বলে জানিয়েছে নবজাতকের পরিবার। জড়িতকে ধরতে ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. পারভেজ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চুরির ঘটনা অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা যায়, সকালে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কারেন্টহাট এলাকার আব্দুল লতিফের স্ত্রী জায়েদা বেগম (৩৬)। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি এক মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। সকলেই চলে গেলে হাসপাতালে প্রসূতি ও নবজাতকের জন্য থেকে যান প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম। 

দুপুরের দিকে বোরখা পরিহিত হাসপাতালে থাকা এক নারীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ভাব জন্মে। দুপুরের খাবারের সময় হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে বোরখা পরিহিত ওই নারী শিশুটির দেখাশোনা করবেন জানিয়ে দুই বোনকেই একসঙ্গে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য বাথরুমে পাঠিয়ে দেন। 

পরে তারা উভয়েই বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন ওই নারীও নেই নবজাতকও নেই পরে তারা ওই নারীকে খোঁজাখুঁজি করেন পুরো হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকায়। না পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কোতয়ালী থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তদন্ত কাজের জন্য পুলিশ হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।

প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম বলেন, আমার বোনের আগের ৩টি মেয়ে বাচ্চা আছে। আজ চতুর্থ বাচ্চাটিও মেয়ে হয়েছে। দুপুর ১২টার দিক থেকে ওই নারীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। তার কথা-বার্তায় আমাদের ভালো লাগায় মুহূর্তের মধ্যেই ভাব জন্মে। কিন্তু আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি যে বাচ্চা চুরি করে নিয়ে যাবে সে। আমার দুলাভাই পেশায় একজন কসাই। 

কোতয়ালী থানার এসআই শামীম জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমরা হাসপাতালে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। সিসি  ক্যামেরার ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা মোটামুটিভাবে ওই নারীকে শনাক্ত করতে পেরেছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –