দিনাজপুরে দিন দিন চা চাষ বাড়ছে
প্রকাশিত: ৮ মে ২০২২
চা চাষের উপযোগী পাহাড়ি ঢালু জমি নয় দিনাজপুরের সমতল ভূমিতেই দিন দিন বেড়ে চলেছে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ধান-ভুট্টা চাষের জমিতে এবার চা চাষ করছেন ফজলে রাব্বী। কৃষি নির্ভর দিনাজপুর জেলায় জলোচ্ছ্বাস, ঝড়সহ প্রাকৃতিক তেমন দুর্যোগ নেই। মাটিও উর্বর। ধান-লিচুসহ ফসল উৎপাদনও বেশী। দেশের খাদ্য ঘাটতিতে যথেষ্ট অবদান রাখছে এ জেলা।
এরপরেও ধান-লিচু-ভুট্টার পাশাপাশি দিনাজপুরের সমতল ভূমিতে চা চাষের সাফল্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে চা চাষ। পতিত জমি ছাড়াও অনেকে ধানের জমিতেও এই চা চাষ করেছেন কৃষক। চা চাষও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের চাষিরা।
হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত থাকায় চা ভাল উৎপাদন হওয়ায় পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীর সাফল্যের পর দিনাজপুরেও চা চাষ শুরু হয়। আগামীতে এ চা চাষও বদলে দিতে পারে দিনাজপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। চা চাষ তৈরি করেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।
বোচাগঞ্জের প্রথম চা চাষি ফজলে রাব্বি। সাড়ে তিন বছর আগে চা চাষ শুরু করেন। তার নিজস্ব জমিতে এখন সবুজ চা পাতায় ভরে গেছে। চা বাগান দেখে অনেকে চা বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে কয়েকজন শুরু করেছেন। অনেকে চা বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ছবি, সেলফিও তুলছেন। তবে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা এসেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন কিন্তু কোন আর্থিক সুবিধা পায়নি বলে জানান বোচাগঞ্জ উপজেলার রনগাঁও ইউনিয়নের খনগাঁও গ্রামের চা চাষি ফজলে রাব্বি।
বোচাগঞ্জের চা চাষি ফজলে রাব্বির জানায়, সাড়ে তিন বছর আগে পঞ্চগড় থেকে চা গাছের চারা এনে তার নিজস্ব জমিতে পরীক্ষামূলক বপন করে। তার ৩ একর (৯ বিঘা) জমিতে প্রায় ১৮ হাজার চায়ের গাছ আছে। এর সর্বমোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। গত ২বছর থেকে চা পাতা বিক্রি করছি। বছরে কমপক্ষে ৮বার চা পাতা বিক্রি করা যায় এবং প্রতিবারেই চা পাতা বেশী পাওয়া যায়। বর্তমান তিনি ৪৫-৫০দিন পর চা পাতা বিক্রয় করেন। একটি চা কোম্পানি বাগানে এসে চা পাতা নিয়ে যায়। প্রতি কেজি চা পাতা ১৬-২৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি চা পাতা ১৮ টাকা।
চা বাগান করার ফলে এলাকার কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গত এপ্রিলে তিনি ২ হাজার ২শ কেজি চা পাতা বিক্রয় করেন। আগামী সপ্তাহে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কেজি চা পাতা বিক্রি করতে পারবো আশা করছি। চা পাতা দিন দিন বাড়তে থাকে। চা বাগানের ভিতরে আমলকীর গাছ রোপণ করেছে। তিনি আরও বলেন, এটার উদ্যোক্তা মূলত আমার বড় ভাই প্রভাষক ফজলে মুকিম।
ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন চা চাষি জানান, চা বাগানে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করতে হয়। বর্ষা মওসুমে বাগানে যেন পানি না জমে, সেজন্য গাছের গোড়া উঁচু করে দিতে হয়। চা গাছের ছায়া দিতে মাঝে মধ্যে লাগানো যেতে পারে পেয়ারা, নিম, আমলকি, আম ইত্যাদি গাছ। এ ছাড়াও খরার সময় পানি দিয়ে গাছ সতেজ রাখতে হয়। তবে লাল মাকড়সা ও মশা চা পাতা যেন না খেয়ে ফেলে, তার জন্য ওষুধ ছিটানো প্রয়োজন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফ আফজাল জানায়, কৃষক ফজলে রাব্বি তার বড় ভাইয়ের পরামর্শে প্রথম বোচাগঞ্জ উপজেলায় চা বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান তিনি চা বাগানী হিসেবে সফল কৃষক। তাকে দেখে ইতিমধ্যে আরেক কৃষক এক একর জমিতে চা আবাদ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছি।
#বিডি প্রতিদিন
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- শাবনূরের বিকল্প নেই: ডিপজল
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
- দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- গরম আরো বাড়ার শঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- নিষিদ্ধ যানে সড়কে মৃত্যুর মিছিল
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, আগামী দুদিন যেমন যাবে আবহাওয়া
- ‘শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’
- দিনাজপুর জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল নারীর নিথর দেহ
- দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মী কারাগারে
- স্বামীর বাড়িতে ফেরা হলো না গোলবানুর
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- কাল থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ