• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দিনাজপুরে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা বলছে পুলিশ

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২  

দিনাজপুরের খানসামায় আম বাগান থেকে সাদেকা বেগম (৩২) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি পুলিশের।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভেড়ভেড়ী গ্রামের সায়েদ চেয়ারম্যান পাড়ায় সাবেক স্বামী জাহাঙ্গীর ইসলামের বাড়ির পাশে আম বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা। সাদেকা উপজেলার তেবাড়িয়ার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদেকা প্রায় ৯ মাস আগে তার প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর ইসলামকে তালাক দিয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার দারোয়ানী এলাকায় সলেমান মিস্ত্রিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাদেকা তার স্বামী ও শ্বশুরকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। শুক্রবার সকালে সাবেক স্বামী জাহাঙ্গীরের বাড়ির পাশে বাগানে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরও দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজন আসেনি।

সাদেকার ভগ্নিপতি মাহাবুর ইসলাম বলেন, ‘প্রথম স্বামীর সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সাদেকার। ওই সংসারে তাদের তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সংসারে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া ও নির্যাতন করায় তাদের তালাক হয়। পরে পরিবারকে না জানিয়ে সলেমান মিস্ত্রির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাচ্চাদের খোঁজ খবর নিতে গত রাতে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে যায়। এরপর সকালে জানতে পারি সাদেকাকে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ আম বাগানে ফেলে রেখেছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড এবং এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে সাদেকার দ্বিতীয় স্বামী সলেমান মিস্ত্রির মোবাইল নম্বরে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

খানসামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই সঠিক তথ্য জানা যাবে। এরপর দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে একটি মামলার প্রক্রিয়াও চলছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –