• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিনাজপুরে ব্যাথানাশক নিষিদ্ধ ট্যাবলেট এখন ইয়াবার বিকল্প নেশা!

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌরশহরে মাদকের বিকল্প হিসেবে নিষিদ্ধ ব্যাথানাশক  বিভিন্ন  ধরণের ট্যাবলেটের চাহিদা ও বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের তৎপরতায় মাদক ব্যবসায় ভাটা পড়ায় সব ধরনের মাদকের দাম চাহিদা অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলে স্বল্প দামের এসব  ট্যাবলেট মাদকসেবীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ফার্মেসিগুলোতে অবাধে বিক্রির সুযোগে ব্যাথানাশক ওষুধ সংগ্রহ ও সেবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে মাদকাসক্তরা। বিশেষ করে পৌরশহরের অনেকে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে ফেরি করে বিক্রি করছে  নিষিদ্ধ ব্যথানাশক ট্যাবলেট সিনটা। 

সুত্রে জানা যায়, মাদকের বিকল্প হিসেবে সব ধরনের ব্যাথানাশক ট্যাবলেটের চাহিদাই বেড়েছে। কিছু  অসাধু ওষুধ কোম্পানি ব্যাথানাশকের নামে কৌশলে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বাজারজাত করে আসছে। এসব ওষুধ সেবনের কারণে ব্যাথার পাশাপাশি ঘুম ও নেশার চাহিদা মেটায়। এটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মার্কেটিং অফিসারদের মাধ্যমে গোপনে ওষুধের দোকানগুলোতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। বিভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন নামের এ জাতীয় ট্যাবলেট বাজারে ছেয়ে গেছে। দিনের চেয়ে রাতে এর চাহিদা বেশি হয়। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ওষুধের দোকানগুলোতে মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা বাড়তে দেখা যায়। তারা ওষুধের দোকান থেকে অবাধে অনায়াসে নিষিদ্ধ ট্যাবলেট কিনে সেবন করে মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়ছে। 

উপজেলার তাজমহল মোড় এলাকার একটি ফার্মসীর সামনে দাড়িয়ে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেশাজাতীয় ট্যাবলেট কিনতে আসা প্রায় ১০/১২ জন সেবনকারী জানায়, প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় বাজারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সব ধরনের মাদকের সংকট সৃষ্টি হয়েছে আর দামও অনেক চড়া হওয়ায় ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টা, লোপেন্টা, পেন্টাডল, টেপেন্টাডল ও বিশেষ করে সিনটা নামক ট্যাবলেট নেশা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদেরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ব্যাথ্যানাশক ট্যাবলেট বিক্রেয়ের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –