• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

দিনাজপুরে মোটরসাইকেলে চলে পরিবার

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার মধ্যে একমাত্র চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি বাজারে অটোভ্যান বা রিকশার মতো ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন বেকার শতাধিক যুবক। গত ১০ বছর ধরে এই বাজার থেকে যাত্রী ভাড়া ঠিক করার পর মোটরসাইকেল চালকের পিছনে যাত্রী বসিয়ে যাত্রীকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেয়। শুধুমাত্র বিন্যাকুড়ি বাজার থেকেই প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ভাড়ায় চলাচল করে থাকে। এতে করে প্রায় শতাধিত বেকার যুবকের কমংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। একজন ভাড়ায় মোটর সাইকেলচালক প্রতিদিন সর্বনিম্ম ৫০০ টাকা থেকে প্রায় ২ হাজার টাকা দৈনিক আয় করে থাকে।

চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি বাজারের রাস্তার পার্শ্বে ভাড়ায় মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড করে করে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে প্রতিদিন শতাধিক মোটরসাইকেল চালক। মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে সময় ও দূরত্ব জানার পর যাত্রীর ভাড়া ঠিক করা হয়। সাধারণত এই বিন্যাকুড়ির বাজারের আশেপাশের লোকজনরাই এই মোটরসাইকেলের যাত্রী হয়। কোনো অচেনা লোকদেরকে তেমন ভাড়ায় দেয়া হয় না। এই বিন্যাকুড়ি বাজারের কয়েক কিলোমিটারের গ্রামের লোজজনরাই এই মোটরসাইকেলের যাত্রী হয়। এই মোটরসাইকেলে নারীরা যাত্রীও হয়।

মোটরসাইকেল যাত্রী আতাউর রহমান বলেন, স্বল্প সময়ের অল্প ভাড়া দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মোটরসাইকেল চালকরা আমাদেরকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেয় । মোটরসাইকেল ভাড়ায় পাওয়ায় নিজের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার নিজ বাড়ি ফিরে আসতে পারায় যাত্রীরাও অনেক খুশি থাকে।

মোটরসাইকেল যাত্রী রমজান আলী বলেন, এই এলাকার রাস্তা-ঘাট সরু হলেও মোটরসাইকেল চালকের সাহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারছি। অনেক সময় রাতে জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলেও মোটরসাইকেল চালকদের ফোন দিলেই চলে আসে আমরাও রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারি আর আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

মোটরসাইকেল চালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে যখন কোনো চাকরি পাচ্ছি না তখন মোটরসাইকেল শো-রুমে কিছু টাকা জমা দিয়ে মোটরসাইকেল ক্রয় করি। সেই মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছি আর নিজের পরিবারও চালাচ্ছি।

মোটরসাইকেল চালক মাসুদ রানা বলেন, চাকরি পাওয়া খুবই সমস্যা, তাই একটা মোটরসাইকেল ক্রয় করে সেই মোটরসাইকেল ভাড়ায় যাত্রী বহন করে মোটরসাইকেলের কিস্তির টাকা পরিশোধ করে অপর দিকে নিজের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই আছি।

চিরিরবন্দর ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটন বলেন, ইসুবপুর ইউপির বিন্যাকুড়ি বাজারে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে করে যাত্রী বহন করে শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় শতাধিক পরিবার আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। মোটরসাইকেল চালকরা তারা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়া করাতে পারছেন। প্রতিদিন একজন মোটরসাইকেল চালক ১ হাজার আয় করতে পারছেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –