• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দিনাজপুরে লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খনন শুরু

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২  

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপমহাপরিচালক আব্দুল বাকী খান মজলিশ কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন।

ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার দাবি, নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা করছেন তারা। পার্বতীপুর উপজেলার মোস্থফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে রাস্তার পাশে খনিটির অবস্থান চিহ্নিত করেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে পার্বতীপুরের মোস্থফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর-ফুলবাড়ি মহাসড়কের পাশে আমবাড়ি বাজারের পুরাতন গরুহাটির সাথে রাস্তার পাশেই খনিটির অবস্থান। এরই মধ্যে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর খনির অবস্থান চিহ্নিত করে তা সংরক্ষিত হিসেবে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। খনন কাজের জন্য সেখানে বেশ কিছু লোহার পাইপ আনা হয়েছে। বসানো হয়েছে বড় বড় যন্ত্র। সংরক্ষিত এলাকার ভেতরে প্রস্তুত্তির অংশ হিসেবে সেখানে কয়েকটি কূপ খনন করা হয়েছে। শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে টিনের চালার ঘর।

আমবাড়ি বাজার থেকে খনির কূপ খনন কাজের উদ্বোধন দেখতে এসেছেন মামুনুর রসিদ। তিনি বলেন, লোহার খনির কথা শুনেছি, কখনো দেখিনি। খনি পাওয়া গেলে আমাদের এলাকার মানুষের উন্নয় হবে।

খনির স্থানের জমির মালিক ইব্রাহীম আলী মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকাবাসী খুবই খুশি। এটি চালু হলে এই এলাকার বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। খনিটি প্রাথমিক জরিপ আমার ৬৬ শতাংশ জমি থেকেই শুরু হয়েছে। এ জন্য আমি খুব খুশি। 

মোস্থফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামানিক বলেন, লোহার খনি পাওয়া গেলে এই এলাকার বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এলাকার মানুষের উন্নতি হবে। খনিকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। খনিতে কাজ করতে যে শ্রমিক নেওয়া হবে, বাহির থেকে না এনে তা যেন স্থানীয় শ্রমিকদের থেকে নেওয়া হয়।

ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক আলী আকবর বলেন, নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা করছি। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে এসেছি। আমাদের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

খনির কূপ খনন কাজের দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) শহিরুল ইসসলাম ।

ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল বাকী খান মজলিশ বলেন, বাংলাদেশ খনি সমৃদ্ধ দেশ নয়, এদেশে খনিজ সম্পদের সম্ভাবনাও কম। সম্ভাবনা যাই থাকুক না কেন আমরা আশাবাদী থাকব। আমাদের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কাজই হচ্ছে আশা ও সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করা। তাই এখন শুধু আমাদের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। খনন কাজ শেষ করে আমরা বিস্তারিত বলতে পারব। এর আগে এখানে কী আছে বলা মুশকিল।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০২১ সালে ২ এপ্রিল দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়ন কেশবপুর গ্রামে একটি খনির সন্ধানে ড্রিলিং (খনন) কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে প্রায় একমাস কার্যক্রম শেষে তা সমাপ্ত করে চলে যান ভূতত্ত্বের কর্মকর্তারা। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –