দিনাজপুরে সন্ধান পাওয়া গেছে পতঙ্গভুক ‘সূর্যশিশির’
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দিনাজপুরে আবারও ‘সূর্যশিশির’ উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিলুপ্তপ্রায় প্রতঙ্গভুক এই উদ্ভিদ দেখার জন্য বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ উত্সুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে। বাংলায় বলা হয় সূর্যশিশির-(মাংসাশী উদ্ভিদ), যার আরেক নাম মুখাজালি। জন্মায় অম্ল (গ্যাস) বেড়ে যাওয়া মাটিতে শীতপ্রবণ এলাকায়।
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সংরক্ষিত পুকুরপাড়ের পশ্চিম পাড়ে বিলুপ্তপ্রায় প্রতঙ্গভুক ‘সূর্যশিশির’ নামে এই উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদ প্রজাতিটির শনাক্ত করেন কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন। গত বছর এখানে তিনটি গাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কিন্তু এবার ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে একই স্থানে শত শত পতঙ্গভুক ‘সূর্যশিশির’ দেখা গেছে।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, উদ্ভিদটি সংরক্ষণ ও বিস্তারের জন্য গবেষণা প্রয়োজন। তিনি জানান, গোলাকার সবুজ থেকে লালচে রঙের থ্যালাসের মতো মাটিতে লেপ্টে থাকা উদ্ভিদটি মাংসাশী উদ্ভিদসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতি। এই উদ্ভিদটির রয়েছে ঔষধিগুণ, পোকামাকড়, কীটপ্রতঙ্গ খেলেও উপকারি পোকা বা কীটপ্রতঙ্গ এই উদ্ভিদের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। এ কারণে উপকারী পোকা বা কীটপ্রতঙ্গের ক্ষতি করতে পারে না। এরা জন্মায় অম্ল (গ্যাস) বেড়ে যাওয়া মাটিতে শীতপ্রবণ এলাকায়। যে মাটিতে সূর্যশিশির জন্ম নেয় সেই মাটির পুষ্টিগুণ কম থাকে। যা মরুকরণের দিকে ইঙ্গিত বহন করে।
সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, চার-পাঁচ সেন্টিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট গোলাকার থ্যালাসদৃশ উদ্ভিদটির মধ্য থেকে একটি লাল বর্ণের দুই-তিন ইঞ্চি লম্বা পুষ্পমঞ্জুরি হয়। সংখ্যায় ১৫-২০টি তিন থেকে চার স্তরের পাতাসদৃশ মাংসাল দেহের চারদিকে পিন আকৃতির কাটা থাকে। মাংসাল দেহের মধ্যভাগ অনেকটা চামচের মতো ঢালু। পাতাগুলোয় মিউসিলেজ সাবস্টেন্স নামক এক প্রকার এনজাইম নির্গত করে। এনজাইমে পোকা পড়লে আঠার মতো আটকে রাখে। শীতের সকালে পড়া শিশিরে চকচক করে উদ্ভিদটি, তাতেও পোকারা আকৃষ্ট হয়। পোকামাকড় উদ্ভিদটিতে পড়লে এনজাইমের আঠার মাঝে আটকে যায়।
তিনি জানান, কয়েক মাস থেকে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উদ্ভিদটির সংরক্ষণ এবং বিস্তারে তাদের গবেষণা চালাচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, উদ্ভিদটি এবারই প্রথম নয়, প্রথম ক্যাম্পাসে শনাক্ত করা হয় ১৯৯৭ সালে। তত্কালীন বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট উদ্ভিদবিদ রজব আলী মোল্লা এটি শনাক্ত করেন।
দিনাজপুরের মাটিতে অম্ল (গ্যাস) বেড়ে যাওয়ার নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মামুন আল আহসান চৌধুরী। তিনি জানান, মাটির পুষ্টিগুণ উর্বরতা ঠিক থাকার জন্য যে ১৬টি খাদ্য উপাদান প্রয়োজন হয়, এর মধ্যে ৯টি উপাদানের ঘাটতি আছে দিনাজপুরের মাটিতে। ফলে অম্ল (গ্যাস) বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দিনাজপুর জেলা মরুকরণের দিকে খুব আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্যাম্পাসে উদ্ভিদটি দেখার জন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ উত্সুক জনতা এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। এদের বংশ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা চলমান রেখেছে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, আগারগাঁও, ঢাকা এর জীববিজ্ঞান গ্যালারিতে প্রদর্শিত উদ্ভিদটির প্রতিকৃতিতে দেওয়া তথ্যমতে, বিলুপ্ত প্রায় এই উদ্ভিদটি বাংলাদেশে শুধু দিনাজপুর, রংপুর, ঢাকা জেলায় পাওয়া যায়।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ