• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দিনাজপুরে স্কুলের টাকা আদায়ে কৌশল পরিবর্তন

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২১  

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভাদুরিয়া স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডি ফরমের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি ইউনিক আইডির জন্য নয়, সেশন ফি টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে।

অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগে বলেন, সরকার সারা দেশে সকল মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইউনিক আইডি খোলার জন্য প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন কিন্তু ভাদুরিয়া স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি খোলার জন্য স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের নিকট ২০০ টাকা এবং কলেজ শাখার শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৪০০ টাকা হারে জমা নিয়ে ফরম সরবরাহ করছেন। এতে অভিভাবকরা আপত্তি করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি।

ভাদুরিয়া স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে দুই শাখায় প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। সরকারি নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। তবে চলমান লকডাউনে সেশন ফি আদায় করতে না পারায় এবার স্কুল শাখায় ২০০ এবং কলেজ শাখায় ৪০০ টাকা করে সেশন চার্জ বাবদ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ব্যয় মেটানো হয়। 

অভিযোগের সাথে স্কুল শাখার এক শিক্ষার্থী অভিভাবক জোবায়দুর ইসলাম বলেন, ইউনিক আইডি ফরম পূরণের সময় সেশন চার্জ বাবদ টাকা আদায় এটা হাস্যকর। প্রতিষ্ঠান প্রধান কৌশল করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন।

তিনি বলেন, ভর্তির সময় সেশন ফি দিয়েছি বছর না ঘুরতেই আবার সেশন ফির নামে টাকা আদায় অযৌক্তিক। এ ছাড়া কিছুদিন আগে উপবৃত্তির ফরম নেওয়ার সময়ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে অধ্যক্ষ ২০০ টাকা করে আদায় করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাদুরিয়া স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইউনিক আইডির জন্য কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের ব্যয় মেটানোর জন্য বাৎসরিক সেশন চার্জ বাবদ রশিদের মাধ্যমে কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা কমিটির সদস্যদের রেজুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং বন্ধের সময় তাদের দিয়ে কাজ করায় একটা খরচ আছে। ফরমের তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য শিক্ষকদের সম্মানি দিতে হবে এবং অনলাইন করতে অনেক খরচ আছে। এসব খরচ মেটানোর জন্য বার্ষিক সেশন ফি তোলা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ইউনিক আইডি ফরম বিতরণের সময় কোনো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিধান নেই। আমার জানামতে তারা ফরম বাবদ টাকা নিচ্ছে না, সেশন ফি নিচ্ছে।

বছরের মাঝামাঝি সময় সেশন ফি কেন নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন এই এলাকায় ধানের মৌসুম হওয়ায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকের হাতে টাকা থাকায় এমন কাজ করছেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ইউনিক আইডি খোলার বিষয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করে থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান বলেন, ভাদুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –