• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

দিনাজপুরে ৪৫ বছর বন্ধ থাকার পর মন্দিরে পূজা অর্চনা

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২০  

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ইটুয়াগ্রামবাসী দীর্ঘ ৪৫ বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় ‘শ্রীশ্রী কালিমাতা ঠাকুরানী মন্দিরে’ পূজা অর্চনা শুরু করেছে। ৬ জুন বিকেলে প্রাণঘাতী করোনার ক্রান্তিকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের ইটুয়া গ্রামে ‘শ্রীশ্রী কালি মাতা ঠাকুরানী মন্দিরে’ নতুন করে পূজা অর্চনার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। আর নতুন করে পূজা-অর্চনা শুরু করতে পেরে আনন্দিত স্থানীয়রা।

মন্দিরের পূজারি সুব্রত মুখার্জী পালু চক্রবর্তী জানান, মন্দির উদ্বোধনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর মুক্তি লাভের আশায় ঈশ্বরে কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

স্থানীয়রা বিষ্ণু চন্দ্র রায়, ধনঞ্জয় চন্দ্র রায়, নিতাই চন্দ্র রায় জানান, ১১ একর ৫৬ শতক দেবোত্তর সম্পত্তির উপর নির্মিত এই মন্দিরে ব্রিটিশ আমল থেকে পূজা করে আসছিল গ্রামবাসী। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটি স্বার্থান্বেসী মহল মন্দির উচ্ছেদ করে দেবোত্তর সম্পত্তি দখলে নেয়। পরবর্তীতে হিন্দু জনসাধারণ অনেকবার পূজা করতে গেলে তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সেখান থেকে বারবার বিতাড়িত করা হয়।

দীর্ঘ ৪৫ বছর পরে এলাকার অসাম্প্রদায়িক সকল ধর্মের মানুষদের সমন্বয়ে এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের সর্বত্মক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় জায়গা উদ্ধার ও পুনরায় আজ ইটুয়া কালি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হলো। এই পূজায় হিন্দু অঞ্জলি দিল, পূজাকে কেন্দ্র করে যে উৎসব সেই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকল মানুষ।

মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি বলেন, ৪৫ বছর পর এলাকার ভক্তদের পূজা করার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ নীতির কারণে। এলাকারবাসীর সাথে তাদের এই উদ্যোগে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, এক শ্রেণির মানুষ তারা বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে দেবোত্তর, পিরোত্তর সম্পত্তি দখলের তান্ডবে মেতে উঠেছিল বিএনপি ক্ষমতায় আবসার পর। হাসিনার সরকার প্রতিটি ধর্মের প্রতিটি বর্ণের ঐতিহ্য, কৃষ্টি বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবিধানে এই অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি এমপি হওয়ার পরে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেছি শুধু আমার নির্বাচনী এলাকায় নয়, সমগ্র বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতন বন্ধ করে এদেশকে সহ অবস্থানে একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনিল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার, কাহারোল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রায়, বীরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মহেশ চন্দ্র চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক গোপাল দেব শর্মা, ৫ নং সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদুল ইসলাম প্রমুখ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –