দুর্ভোগের শেষ নেই দিনাজপুরের ‘দ’ ব্রিজে
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০
দিনাজপুর খানসামার করতোয়া শাখা নদীর ভুল্লী নদীর উপর ব্রিজটি এখন বাংলা বর্ণমালা ‘দ’ এর মতো ঝুলে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। এরই মধ্যে দুটি বর্ষাকালসহ গেলেও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী পেয়েছে শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস ।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউপির ভুল্লীরহাট এলাকায় করতোয়া নদীর শাখা ভুল্লী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। দুই জেলার কয়েকটি উপজেলা ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এর শ্রমিকসহ কয়েক হাজার মানুষ এ পথে চলাচল করে।
গ্রামবাসী একত্র হয়ে বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করলেও তা আর ব্যবহারের উপযোগী নয়। বাঁশের খড়খড়ি সেতুর উপর দিয়ে হালকা যান ভ্যান আর মোটরসাইকেল চলাচল করলেই নড়েচড়ে নিচে পড়ে যেতে হয়।
গত ২০১৭ সালে দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ভয়াবহ বন্যায় করতোয়া শাখা নদী ভুল্লী নদীর উপর নির্মিত কনক্রিট ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দিনাজপুর-৪ আসনের এমপি আবুল হাসান মাহমুদ আলী ব্রিজটি দেখে নির্মাণের কথা বললেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ।
ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও। কর্তৃপক্ষ বারবার ব্রিজটি দেখে যায় আর মাপযোগ করে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করলেও কোনো প্রকার উপকার পায়নি এলাকাবাসী। ফলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষজনকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ব্রিজটির কাছে গিয়েও দেখা গেছে মানুষের ভোগান্তি। ব্যস্ততম রাস্তা হওয়ায় প্রতিনিয়তই চলাচল করছে যানবাহন।
আলোকঝাড়ী ইউপির ভুল্লীরহাট এলাকার মো. আব্দুল করিম আলী বলেন, ভুল্লী নদীর উপর ব্রিজটি দীর্ঘ তিন বছর আগে ভেঙে গেছে। অনেক নেতা ভাঙা ব্রিজ দেখে গেছে কিন্তু এখনো ব্রিজটি নির্মাণ করেনি। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় অন্যের ফসলি জমির উপর দিয়ে আমরা চলাচল করছি। আমাদের দাবি ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা হোক।
একই এলাকার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি এতদিনেও নির্মাণ হয়নি। বন্যা হওয়ার তিন বছর পার হয়েছে কিন্তু আমাদের ভোগান্তি কমেনি। অনেক নেতা আর জনপ্রতিনিধি এখানে এসে ব্রিজটি নির্মাণ করার কথা বলে গেছেন কিন্তু এখনো ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় দুই জেলার হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্বামীর ভ্যান ঠেলে দিচ্ছেন মোছা. রিক্তা বেগম। তিনি বলেন, ‘সবাই দেখি যায় কিন্তু ব্রিজখান আইজও ঠিক হয় না। হামার কষ্ট তিন বছরেও শেষ হয়নি। হামার দাবি, ব্রিজখান তাড়াতাড়ি হউক।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ভুল্লীরহাট এলাকায় ভুল্লী নদীর উপর ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও সেটি ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে ওই এলাকার মানুষ অন্যের ফসলি জমি দিয়ে চলাচল করছে।
জমির মালিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘ব্রিজটি ভাঙার পর একটি বাঁশের সাঁকো আমরা দিয়েছি কিন্তু শুকনো মৌসুমে সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করি না। এই রাস্তা দিয়ে বেশি লোকের চলাচল থাকায় সাঁকোটি নড়বরে হয়ে গেছে এজন্যই আমার জমির উপর দিয়ে এখন চলাচল করছে। এর ফলে আমার জমির ফসলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খানসামা উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকার বলেন, ‘ব্রিজটি যদিও এলজিইডির নয় কিন্তু ব্রিজের দুই পাশের রাস্তাটি এলজিইডির হওয়ায় ব্রিজটি আমরা তৈরির করার জন্য এরইমধ্যে প্রজেক্ট পাঠিয়েছি। এখন প্রজেক্ট পাস হয়ে আসলেই ব্রিজটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
দিনাজপুর এলজিইডির নিবাহী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার প্রায় দুই শতাধিক ব্রিজ নষ্ট হয়েছে গেছে। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের সংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। আশা করি চলতি বছরের মধ্যেই জেলার যেসব ব্রিজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে ।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ‘ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে’
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- মনোয়ারার পাশে দাড়ালো সেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আমরা করব জয়’
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মা মারা গেছেন
- একদিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- কাহারোলে বিনামূল্যে পাট চাষীদের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ
- চিরিরবন্দরে সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ
- খাস জমি ইজারা দেওয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স: ভূমিমন্ত্রী