• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

নবাবগঞ্জে ভূমিহীনদের ঘর অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের বরাদ্দ!

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯  

চলতি বছরে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বানমারী গুচ্ছগ্রামে ভূমিহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ আসে। তবে ভূমিহীনরা নয় দালালদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে বহিরাগতদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

ভূমিহীনদের অভিযোগ, মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, ঘর বরাদ্দে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি।

এদিকে ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। 

বানমারী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার ৮ নম্বর মাহমুদ ইউপির বানমারী এলাকার একটি পুকুরপাড়ে নিজের সাধ্যমত মাটি ও বেড়ার ঘর বানিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন ৩৫টি ভূমিহীন পরিবার।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার ওই বানমারী গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করেন। প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যয় হয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। 

বানমারী গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতি হেমরন, বাহামনি সরেন, প্রদিপ মার্ড্ডি, খোতেজা বেগম, নিলুফা বেগম, আব্দুল মমিন, মানিক মূমূসহ ১৫ জন ভুক্তভোগী ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন, বানমারী গুচ্ছগ্রামে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা অন্য এলাকার মানুষদের অর্থের বিনিময়ে কিছু ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। যারা চাহিদামত অর্থ দিতে পারেননি তাদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

দালালদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে বহিরাগতদের ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। তারা প্রতিবাদ করলে দালাল রেজাউল, রাম পাল, আলতাব হোসেন, মাহা আলম ও দবিরুল ইসলাম তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
  
তবে ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঘর বরাদ্দে কোনো অর্থ নেয়া হয়নি। নিয়ম নীতি মেনেই ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন। 

নবাবগঞ্জ ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, ঘর বরাদ্দে বিয়ষটি আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। তবে সেখানে কোনো অনিয়ম বা অর্থ আদায়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস থাকায় ঘর বরাদ্দে কিছু সমস্যা ছিল। সরেজমিন গিয়ে তা সমাধান করা হয়েছে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –