• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নীলফামারীতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কারাগারে ফুফা শ্বশুর

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

নীলফামারীতে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলের পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে শ্রীঘরে গেলেন ফুফা শ্বশুড় মশিউর রহমান (৫০)। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে নীলফামারীর গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া গ্রামে। ঘটনার নায়ক ফুফা শ্বশুড় মশিউর রহমান পাশ্ববর্তী চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ি জোল বাবুরডাঙ্গা এলাকার বুদারু মাহমুদের ছেলে। 

মামলা সুত্রে জানা যায়, এক বছর ৬ মাস আগে একই এলাকার কাঞ্চনপাড়া মাষ্টারপাড়া গ্রামের গ্রামের রহিদুল ইসলামের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় ধোপাডাঙ্গা বেগপাড়া গ্রামের মিলন ইসলামের। পারিবারিক একটি সমস্যার কারণে ফুফা শ্বশুর মশিউর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে মিলন ইসলামের স্ত্রী ছন্দ নাম রহিমা বেগম (২০)। ফুফা শ্বশুর তাকে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এ জন্য তাকে উকিল ও মহুরীর কাছে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এ অবস্থায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে ফুফা শ্বশুর মিলন ইসলামের বাড়িতে আসে। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টায় মোটরসাইকেলে উকিল ও মুহুরীর বাড়ি রওনা দেয় তারা। পথে বিন্যাদিঘি এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে মোবাইলে ফুফা শ্বশুর কার সঙ্গে যেন কথা বলে। এরপর বলে উকিল মুহুরীকে আজ পাওয়া যাবেনা। 

এরপর রহিমা বেগম তাকে স্বামীর বাড়িতে পৌছে দিতে বলে। ফেরার পথে মোটরসাইকেল অন্য পথে নিলে রহিমা বেগম মোটরসাইকেল হতে ঝাপিয়ে পড়ে। এ অবস্থায়  ফুফা শ্বশুর মোটরসাইকেল থামিয়ে তার কাছে এসে জড়িয়ে ধরে রাস্তার ধারে বাঁশঝাড়ে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বুদ্ধি খাটিয়ে রহিমা তাকে তার বাড়িতে নিতে বলে। পুনরায় তারা মোটরসাইকেলে করে রওনা দেয়। এ অবস্থায় রহিমা মোবাইলের মাধ্যমে খুদে বার্তা জানায় পরিবারকে। পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ফুফা শ্বশুড়ের বাড়ির সামনে হতে রহিমা কে উদ্ধার করে। 

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তাকে বুধবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –